একাধিকবার স্কুলকে লিখিত আবেদন করে ছাত্রটির বাবা। বাসচালক বাবা ছেলের একটা বছর নষ্ট হওয়া মেনে নিতে পারেন নি। তিনি মামলা করেন হাইকোর্টে। সোমবার পরীক্ষায় "নকল" মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি শেখর ববি শরাফের বেঞ্চে। সেখানে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন পরীক্ষার সময় নকল করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে মামলাকারী ছাত্র। নকলে জড়িত দুই ছাত্রের পরীক্ষা বাতিল করে পরিদর্শক। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য সংসদে নথি জমা দেওয়ার সময় পার হয়ে গিয়েছে। বিদ্যালয় তার নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দুই ছাত্রের চলতি মরসুমে উচ্চমাধ্যমিকে বসতে না দেওয়ার সুপারিশ করেছে।
advertisement
মামলাকারী ছাত্রের আইনজীবী গৌরব দাস আদালতকে জানায়, উত্তর পত্র নকলের অভিযোগ অথচ ছাত্রটিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের পর্যাপ্ত সুযোগ দেওয়া হয়নি। আইনে কোথাও বিদ্যালয় পরিচালনা সমিতিকে অধিকার দেওয়া হয়নি পরীক্ষা বাতিল করার। এছাড়া বোলপুর হাই স্কুলে পাঁচটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েও উচ্চমাধ্যমিকে বসার সুযোগ পেয়েছে এমন ছাত্রের সংখ্যা অনেক। দুই পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি শেখর ববি শরাফ বোলপুর হাইস্কুলের সিদ্ধান্ত খারিজ করেছে। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, আত্মপক্ষ সমর্থনের যথেষ্ট সুযোগ না দিয়ে কাউকে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। এক বছর শাস্তি হিসেবে পরীক্ষা না বসতে দিলে ছাত্রটির ওপর মানসিক চাপ তৈরি হবে। পরীক্ষায় নকল, এমন একটা তকমা নিয়ে বাকিটা জীবন কাটাতে হবে ছাত্রটিকে। হাইকোর্ট ১০ দিনের মধ্যে ছাত্রটির উচ্চমাধ্যমিকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য যাবতীয় নথি তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।
ARNAB HAZRA