পুরীতে যেমন ১২ বছর অন্তর নবকলেবর হয়, মাহেশের বিগ্রহের কোনও পরিবর্তন হয় না। প্রথমে তোলা হয় নারায়ণ শিলা , তার পর বলরাম তার পর সুভদ্রা সবশেষে ওঠেন জগতের নাথ জগন্নাথ। আজকের দিনে বলা হয় প্রভু জগন্নাথ দেবের আবির্ভাব তিথি। এর পর প্রভু জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রাকে বিভিন্ন বেশের পোশাক পরানো হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- বুধবার দিঘায় পালিত হল জগন্নাথ দেবের স্নানযাত্রা, বেশ কিছু দিন বন্ধ থাকবে জগন্নাথ মন্দির
প্রথমে হবে অবকাশ বেশ, তার পর হবে স্নান বেশ। এবছর ১০: ৪৭ মিনিটে হয় মহাঅভিষেক, যা ১০৮ ব্রহ্ম দ্বারা বিভিন্ন তীর্থের জল থেকে শুরু করে পঞ্চগব্য, পঞ্চমৃত ,বিভিন্ন তৈল, রত্নদ্বকায় পুষ্প দখায়, ধাতু দখায় সহ দ্বাদশ মৃত্তিকা দ্বারা মহাপ্রভুকে মহা অভিষেক করা হয়। দুপুর ১২:১০ মিনিটে মহাযোগের পূর্ণ স্নান অনুষ্ঠিত হয়।
এখানে ২৮ ঘরা গঙ্গাজল , দেড় মণ দুধ দিয়ে প্রভুকে স্নান করানো হয়। এর পর মহাপ্রভু গজ বেশ ধারণ করেন। সারাদিন ভক্তদের মাঝে থাকেন জগন্নাথদেব। পুজোর পর তাঁকে মন্দিরে রাখা হয়। কথিত আছে, এই স্নানের পর জ্বর আসে জগন্নাথ, বলরাম., সুভদ্রার। তাই সন্ধ্যার পর থেকেই মন্দির বন্ধ রেখে সেবা-সুশ্রুষা করা হয় তাঁদের । কবিরাজের পাঁচন খেয়ে সুস্থ হন তিন ভাই-বোন। এরপর ১৫ দিন পর তাদের ফের বাইরে আনা হয়। ভক্তদের মাঝে ভোগ বিতরণ করা হয়।
রাহী হালদার