শাঁখারী পরিবার এবং কুলোপুরোহিত পরিবার মিলে চলে আসে। সেই সময় তাঁদের কুলো দেবতাকে নিয়ে আসেন বাঁটুল গ্রামে। তার দীর্ঘদিন পর ১২০৩ সালে মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। সেই থেকে বংশ পরম্পরায় পুরোহিত পুজো করে আসছেন । বর্তমানে কাশীনাথ বটব্যাল তাঁরা চার ভাই পুরোহিত এই মন্দিরের।
পাঁচ চূড়া বিশিষ্ট বিশাল আকার মন্দির। এই মন্দিরে বিরাজ করছেন শিলা মূর্তি শ্রী শ্রী দধি বামন জিউ, গধাধরের মূর্তি, লক্ষ্মী মূর্তি এবং শিবের শিলা মূর্তি। মন্দিরের পাশেই রয়েছে দুর্গা দালান। এ সময়েও মা দুর্গার কৃপায় মেলে মৃগী রোগের অষুধ। জানা যায়, আজও ভক্তিতে মেলে মৃগী রোগ থেকে মুক্তি। বর্তমান সময়েও মানুষ আসেন মৃগী রোগ থেকে মুক্তি পেতে এই অষুধ নিতে, জানান পুরোহিত কাশিনাথ বটব্যাল।
advertisement
আরও পড়ুন: Birbhum News: গরিবের রাজা রবিনহুড! দু'হাত নেই, মায়ার বাঁধনে অসহায়ের পরম বন্ধু জগন্নাথ
আরও পড়ুন: Hooghly News: রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে এ কী কাণ্ড, দেখতে লোক জড়ো হল আরামবাগের রাস্তায়
স্থানীয় মানুষ জানায়, সে সময় মন্দির ছিল কাঁচা। ভগবানের স্বপ্নাদেশে নদী থেকে মেলে তিন নৌকা বোঝাই শাঁখা। ভগবানের ইচ্ছা মতোই। পরবর্তী সময় সেই শাঁখা বিক্রি করে নির্মিত হয় মন্দির। গ্রামের বিভিন্ন প্রান্ত এবং দূর দূরান্ত থেকে মানুষ ভক্তি করে আসেন এই মন্দিরে পুজো দিতে। প্রতিদিন নিয়ম করে দুই বেলা পুজো অনুষ্ঠিত হয়। সারা বছর জন্মাষ্টমী দোল বিশেষ দিন গুলিতে বিশেষ পুজোর আয়োজন হয়। বাগনান তথা জেলায় বড় প্রাচীন নারায়ণ মন্দির এটি।
রাকেশ মাইতি