বীরভূমের সিউড়ির পুরন্দরপুরের প্রাচীন পুজো দত্ত পরিবারের মাতৃমন্দিরের পুজো। পুজোর শুরু ১৩০০ সালে। কাঠামোর গায়ে মাটি, খড় লেপা শেষ। প্রতিমার পুরোপুরি সেজে উঠতে আরও কয়েকটা দিন বাকি। প্রাচীন এই পুজোকে লোকে বলে তেজপাতার পুজো। হেঁশেলের তেজপাতার নামে দুর্গাপুজো কেন? তার জন্য শুনতে হবে এক ইতিহাস। বোলপুরে মুদি দোকান ছিল যোগেশ্বর দত্ত নামে ব্যক্তির। একদিন তেজপাতার বস্তার মধ্যে কয়েকটি সোনার মুদ্রা পেয়েছিলেন তিনি। পরিবারের কুলগুরু নির্দেশ দেন ওই সোনার মুদ্রা দিয়ে পুজো করার। তারপর?
advertisement
পুরন্দরপুর এর কাছে ইন্দ্রগাছা গ্রামের নিলামে ওঠা দেবত্ত সম্পত্তি কেনা হয় ওই মুদ্রা খরচ করে। সেই সম্পত্তির আয় থেকে শুরু হয় এই পুজো। একা যোগেশ্বর দত্ত করতে পারবেন না বলে সেই পুজোতে সঙ্গে নেন কাকা বহুবল্লভ দত্তকে। সেই থেকেই দুই পরিবারের প্রজন্মরা মিলেই এই পুজো করে আসছে।
এখানে ষষ্ঠী থেকে পুজো শুরু হয়। বৈষ্ণব মতে পুজোতে পশু বলি হয় না। মাসকলাই বলি হয়। নবমীর পুজোর পর মহাপ্রসাদ খান গ্রামের মানুষ।
পুজোর সময় দত্ত পরিবারের সদস্যরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেন গ্রামের মানুষও। রান্নায় তেজপাতা মানেই যেমন বাড়তি স্বাদ, আর তেজপাতার পুজো মানেই যেন অন্যরকম আনন্দ। যে পুজোয় জনশ্রুতি আছে। বিশ্বাসে সেই জনশ্রুতি যেন সত্যি হয়ে ওঠে।