শুধু ডঙ্কাই নয়, তা বাজানোর জন্য যে লাঠি ব্যবহার করা হচ্ছে সেটির ওজনও প্রায় আড়াই থেকে তিন কিলো। চারজনে মিলে বাজানো হয় এই ডঙ্কা। দীর্ঘাকৃতির এই বাদ্যযন্ত্রকে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে নিয়ে যেতে বিশেষ চাকা লাগানো ট্রলিরও বন্দোবস্ত করা হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় ছ-মাসের উপর অপেক্ষা করে তবেই বিশেষ উপায়ে মিলেছে এই দীর্ঘাকৃতি ডঙ্কা তৈরির চামড়া বলেই জানালেন দলপতি গণপতি। গম্ভীর আওয়াজের এই ডঙ্কার কারণেই এবার যেন তাই বাড়তি উন্মাদনা নহাটার মতুয়া ভক্তদের।
advertisement
কয়েক হাজার মানুষ এই ডঙ্কা নিয়েই এদিন রওনা হবেন ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির উদ্দেশ্যে, পুণ্য স্নানের লক্ষ্যে। প্রায় সাড়ে তিন থেকে চার ঘণ্টার পথ অতিক্রম করে, ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছে সবচেয়ে বড় এই ডঙ্কায় উঠবে হরি বোল ধনী। মতুয়া ধর্মালম্বী মানুষদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পায় কাঁসর, ঘণ্টা, নিশান ও ডঙ্কা।
এলাকাবাসী-সহ মতুয়া ভক্তরাও জানালেন এত বড় ডঙ্কা আগে কেউ কখনও দেখেননি। এখন সারাদিনই তাই ভিড় লেগে থাকছে দলপতি গণপতির বাড়িতে। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি, আর কিছু সময় পরই ঠাকুরনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে দীর্ঘাকৃতির এই ডঙ্কা। এবার যেন তাই ঠাকুরনগর বারুণী মেলার সবচেয়ে বড় চমক হয়ে উঠতে চলেছে এই ডঙ্কা।
Rudra Narayan Roy