২০০৪ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা দিয়ে শুরু কর্মজীবন। এরপর প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল বীরভূমের নানুরের দেবগ্রাম হাইস্কুলে যোগদান করেন ২০১৬ সালে। বাবা বিশ্বনাথ সাহার বীরভূমের সাঁইথিয়ায় তেল মিল ও কোল্ড স্টোরেজ রয়েছে। অন্যদিকে, কান্দি মহকুমার রেশন ডিস্ট্রিবিউটার। বর্তমানে বাবার পৈত্রিক সম্পত্তিই দেখাশোনা করতেন।
advertisement
২০১৩ সালে স্ত্রী টগর সাহাকে বিয়ে করেন। ২০১৪ সালেই আন্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি পান ধৃত বিধায়কের স্ত্রী টগর সাহা। এমনকি, শ্যালক নিতাই সাহাও ২০২২ সালে রঘুনাথগঞ্জের পিয়ারাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন।
কলেজ জীবন থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত জীবনকৃষ্ণ সাহা। ২০১৫ সাল থেকেই ধীরে ধীরে অনুব্রত মণ্ডলের অনুগত হিসাবে পরিচিতি পেতে শুরু করেন জীবন। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী অমিয় দাসকে ২ হাজার ৭৫৩ ভোটে পরাজিত করে জয়ী হন তৃণমূলের বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। ভোটের টিকিট পাওয়ার পিছনেও অনুব্রত মণ্ডলের হাত রয়েছে বলেও মনে করেন তৃণমূলের অনেকেই।
সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলেছে জীবনকৃষ্ণের নামে। জানা গিয়েছে, বড়ঞাঁর আন্দি গ্রামেও কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন গত এক বছরের মধ্যে। বড়ঞাঁর একাধিক পার্টি অফিস, ধানমাণ্ডি৷ ২৭ কাঠা জমিও রয়েছে তাঁর নামে।
শুধু তাই নয়, ২০১৮-২০২২ সালের মধ্যে নিজের নামে কয়েক কোটি টাকার জমি কিনেছেন বলে তথ্য উঠে এসেছে সিবিআই-এর হাতে। বীরভূম পুরসভা এলাকায় সাড়ে ৫ কাঠা, শান্তিনিকেতনে ৪ কাঠা, সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকাতেও সব মিলিয়ে প্রায় ২৪ কাঠা জমি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিধায়কের নামে রয়েছে তেলকল, রাইসমিল, কোল্ড স্টোরেজ৷ মিলেছে একাধিক ফ্ল্যাটের সন্ধানও। এই সমস্ত সম্পত্তির বেশ কিছু নথিপত্র তদন্তকারী দলের হাতে এসেছে। বড়ঞাঁর ধানমণ্ডির বাসিন্দা উত্তম মাহারা বলেন, ‘‘এই এলাকায় ২৭ কাঠা জায়গা বিধায়কের কেনা রয়েছে। মাস তিনেক ধরে এই জায়গায় ধান কেনার মাণ্ডি চলে। মাঝে মধ্যেই বিধায়ক এই এলাকায় আসতেন। সকলের সঙ্গে খুব ভাল ব্যবহারও করতেন।’’