বচসার জেরে আহত ব্যক্তিরা
আক্রান্ত মুজিবর রহমানের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাতে আনুমানিক সাড়ে আটটা নাগাদ মুজিবর রহমানের বাড়ির নিকটস্থ একটি ইলেকট্রিক পোলে ইলেকট্রিক সরবরাহে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা যায়। এরপর সেই সমস্যা দূর করার জন্য স্থানীয় বিদ্যুৎ দফতরের এক কর্মীকে বিষয়টি জানালে সেই ব্যক্তি বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রক্রিয়া ঠিক করতে আসলে বাধার মুখে পড়ে প্রতিবেশী পরিবারের সঙ্গে। এরপরেই শুরু হয় দুই প্রতিবেশী মধ্যে বচসা।
advertisement
মুজিবর বাবুর অভিযোগ প্রতিবেশী, বাদশা শেখ, জিন্নাত শেখ, আশগুল শেখ, ছোট শেখ, জামাল শেখ এবং আরোজ শেখ, প্রত্যেকেই মুজিবর বাবুর বৌমা কুলসোনা বিবিকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। বৌমা প্রতিবাদ করলে তাকে উপরোক্ত অভিযুক্তরা বেধড়ক মারধর করে এবং রাস্তায় ফেলে শাড়ি কাপড় ধরে টানাটানি করে এবং কাপড় খুলে দেয় বলে অভিযোগ। এরপর কুলসোনা বিবির চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে মুজিবর বাবু ও তার পরিবার সেই গণ্ডগোল থামাতে এলে, মারধর ঠেকাতে এলে অভিযুক্তরা হাতে ধারালো অস্ত্র এবং লোহার রড নিয়ে মুজিবর বাবুর পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঘটনায় একজন নাবালিকা শিশু কন্যা আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবার। অপরদিকে শুধু ধারাল অস্ত্র নয় ইট পাটকেল ছোড়া হয় তাতে আহত হয় মুজিবর বাবুর ভাই। মুজিবর বাবুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারতে গেলে তিনি মাথা সরিয়ে নিলে তার বাম কানে কোপ লাগে। ঘটনায় প্রত্যেকে আহত অবস্থায় নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট্ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হন। পরিবারের অভিযোগ তাদেরকে লক্ষ্য করে পূর্বপরিকল্পনা মাফিক ছাদে মজুত করা হয়েছিল একাধিক ইট পাটকেল। অপরদিকে নাবালিকা শিশু কন্যার অবস্থা সংকটজনক হয় তাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে, তার সঙ্গে সঙ্গে দুই মহিলাকেও।
ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত মুজিবর রহমানের পরিবার। যদিও অভিযুক্তদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এই ঘটনায় কোনও বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীকে না জানিয়ে নিজেরাই তারা বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত করতে গিয়েছিল তাই বাধা দেওয়াতে এই বচসা। ওই ইলেকট্রিক পোলটি তাদের জমিতে বসান। তবে এই ঘটনায় অভিযোগকারীর পরিবারও তাদের উপর চড়াও হয়েছে এবং এক নাবালক শিশু ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানান তারা। তারাও অভিযোগকারীর পরিবারের বিরুদ্ধে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করবেন। তবে ঘটনার পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় এবং গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শান্তিপুর থানার পুলিশ।