সেই ঘটনায় গতকাল, শনিবার, রাতে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা ছট্টু মণ্ডল, সুপ্রিয়া ভৌমিক, কার্তিক মণ্ডল এবং সুচিত্রা মণ্ডল। এর পাশাপাশি দু’জনকে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় শতপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সেই ঘটনারও তদন্ত চলছে। তবে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা সকলেই প্রতিবেশী৷ পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
advertisement
আজ, রবিবার, ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতে চেয়ে আদালতে তোলা হবে। এরপরই তাদের জিজ্ঞাসা করে জানা যাবে ছাত্র খুনের আসল রহস্য। তবে জনরোষে পড়ে যাদের মৃত্যু হল তারাই কি আদৌ এই খুনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল তা কিন্তু এখনো স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার পেছনে থাকতে পারে অন্য কোন রহস্য। সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তেহট্টের নিশ্চিন্তপুরে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধারের পর কেটে গিয়েছে ২৪ ঘণ্টা, কিন্তু এখনও থমথমে এলাকা। বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। গতকাল, শনিবার সন্ধ্যায় শিশুর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। রাত সাড়ে আটটা নাগাদ মৃতদেহ গ্রামে এসে পৌঁছায়। রাতেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
ছাত্রের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে মনে করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে খুন করে জলে ফেলা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত উৎপলের বাড়িতেই শিশুকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই কারণে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে এলাকাটি সিল করে দিয়েছে পুলিশ। যাতে কোনও তথ্য প্রমাণ নষ্ট না হয়। আজ ঘটনাস্থলে এসে নমুনা সংগ্রহ করবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা।
সমীর রুদ্র