জানা যায় স্থানীয় খোষ্টিকরী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন তিনি। সেখান থেকে ২০১৮ সালে অবসর গ্রহণ করেন। সরকারি নিয়ম মতে ও বয়সের কারণে তিনি বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষিকা, তাঁর মেধা বন্টনের অবসর হয় তো জীবনের শেষ বিন্দু পর্যন্ত চলবে। কিন্তু তারপরও তিনি এখনও ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। চাকরি জীবনে মোটে ১১ দিন ছুটি নিয়েছেন। প্রায় সাত বছর সরকারি নিয়মে অবসর জীবনে প্রবেশ করলেও রোজ তিনি স্কুলে আসছেন। পড়াচ্ছেন ছাত্র-ছাত্রীদের কোনও রকম পারিশ্রমিক ছাড়াই। প্রতিদিন স্কুলে এসে ক্লাস নেওয়া আবার ছুটির পর বাড়ি ফিরে যাওয়া নিয়ম মতই চলছে। সেই নিয়মের কোনও পরিবর্তন হয়নি।
advertisement
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবসর হয় না, এই বিশ্বাস থেকেই বিদায় সংবর্ধনা গ্রহণ করলেও কথা দিয়েছিলেন, অবসর নেওয়ার পরেও পড়ুয়াদের টানে বিদ্যালয়ে আসবেন। যেমন কথা তেমন কাজ। তার ঠিক পর দিন থেকেই এখনও পর্যন্ত নিয়ম করে রোজ বিদ্যালয়ে আসেন তৃপ্তিদেবী। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে বসে থাকতে ইচ্ছে হয় না। শিক্ষকতা নেশার মত। পড়ুয়াদের সঙ্গে থাকতে ভাল লাগে। শরীর সুস্থ থাকলে এভাবেই নিয়ম করে বিদ্যালয়ে আসব।’ নিয়মমাফিক রোজ সাড়ে ১০ টার মধ্যে বিদ্যালয়ে পৌঁছে যান তিনি। তারপর সারাদিন ক্লাস নিয়ে বিকেলে ফিরে যান বাড়ি।
আরও পডুনঃ Asia Cup 2025: এশিয়া কাপে ভারতের রয়েছে এমন ৫টি রেকর্ড, যা ভাঙা একপ্রকার অসম্ভব
শিশুশ্রেণী থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া করে বিদ্যালয়ে। পড়ুয়ারা জানিয়েছে, অবসর নিলেও পড়ানোতে কোনও ঢিলেমি নেই তাঁর। অবসরের পর বিদ্যালয়ে পড়ানোর জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ সাম্মানিক অর্থ দিতে চাইলেও কোনও টাকা নেন না তৃপ্তিদেবী। তাতে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সঙ্গে মেনেও নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তৃপ্তি দেবীর এই কাজ সচরাচর দেখা যায় না। অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষিকা তৃপ্তি বক্সি বর্তমানে ওই স্কুলের সমস্ত শিক্ষকের কাছে অনুপ্রেরণা। তাঁর কাজ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের উদ্বুদ্ধ করেছে।