নলিনীমোহন বলেন, ‘ডামরা গ্রামেই আমার বাড়ি। ছোট থেকে এই স্কুলে পড়াশোনা করেছি। আমাদের সময় জুনিয়র হাই স্কুল ছিল। তাই অষ্টম শ্রেণী পাস করার পর সিউড়ি থেকে পড়াশোনা করি। আমার বিষয় ছিল জীবন বিজ্ঞান। পাশাপাশি রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়াতেও আমার ভাল লাগত। এই বিদ্যালয় উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে উত্তীর্ণ হওয়ার পর থেকেই আমি রাষ্ট্রবিজ্ঞানও পড়াতাম। বাড়িতে বসে থাকতে ভাল লাগে না। ছাত্র-ছাত্রী ও স্কুলের টানে ছুটে আসি। এরাও আমাকে খুব ভালবাসেন।’
advertisement
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুমন মণ্ডল বলেন, ‘নলিনীমোহন বাবু ছোট থেকেই এই বিদ্যালয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি বিদ্যালয়কেও খুব ভালবাসেন। সরকারি ভাবে তিনি বিদ্যালয় থেকে বিদায় নিয়েছেন। কিন্তু মন থেকে তিনি বিদ্যালয়কে এখনও ছাড়তে পারেননি। আমাদের বিদ্যালয়েও শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে। তিনি সেই কষ্টটা অনুভব করেছেন। তাই আমাদের পাশে দাঁড়াতে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে প্রতিদিন বিদ্যালয়ে এসে ক্লাস করাচ্ছেন। আমাদেরও খুব ভাল লাগে ওঁকে কাছে পেয়ে। আমরা চাই উনি সব সময়ে এভাবেই আমাদের পাশে থাকুন।’
স্কুলে এক ছাত্রের অভিভাবক জানান, ‘মাস্টারমশাই বাবু খুবই ভাল মনের একজন মানুষ। অনেকদিন থেকেই তিনি এই শিক্ষককে দেখছেন। তাদের পরিবারের ছেলে মেয়ের কথা চিন্তা করে অবসর নেওয়ার পরেও শিক্ষক বাবু এখনও ছাত্র-ছাত্রী এবং স্কুলের পাশে রয়েছে এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।’
সৌভিক রায়