পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে অভিভাবকদের একাংশ স্কুলে বিক্ষোভ দেখায়। প্রধান শিক্ষক বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বেনজির ঘটনা! বর্ধমানে সন্তানকে অপহরণের অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর সংস্কৃত বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। ঘন্টাখানেক পরীক্ষা চলার পর অভিযুক্ত শিক্ষক দেখেন ওই ছাত্র অন্যের আসনে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে।
advertisement
ছাত্রের বাবা মায়ের অভিযোগ, ওই শিক্ষক পরীক্ষা দেওয়ার পিচবোর্ড দিয়ে তাঁদের ছেলের মাথায় আঘাত করেন। ছেলের মাথা ফেটে রক্ত গড়াতে থাকেঌ সে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের কাছে গেলে তাকে এগারো মাইল এলাকায় একটি ওষুধের দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসা হয় ছেলের।
ওই ছাত্রের ছাত্রের মায়ের অভিযোগ, আমার দুই ছেলে একই ক্লাসে পড়ে। স্কুল থেকে ঘটনা আমাকে জানানো হয়নি। ছোট ছেলে বাড়িতে এসে বললে আমরা কয়েকজন স্কুলে গিয়ে জানতে পারি ছেলেকে মোটরবাইকে চাপিয়ে স্কুলের দুই শিক্ষক চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। ছেলের মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। স্কুলের অন্য শিক্ষকরা আমাদের সঙ্গে দেখা করলেও যিনি ছেলেকে মেরেছেন তিনি আসেননি।
অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য, পরীক্ষা চলাকালীন ওই পড়ুয়া অন্য এক জায়গায় বসেছিল। তাকে শাসন করতে গিয়েছিলাম। পিচবোর্ডের কিনারা লেগে মাথা ফেটে যায়। আমার ভুল হয়েছে। এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ওই পড়ুয়ার চিকিৎসা করানো হয়েছে। যিনি ওকে মেরেছিলেন তাকে সঙ্গে নিয়ে পড়ুয়ার বাড়ি গিয়েছিলাম। ওই শিক্ষককে সতর্ক করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্কুলের পরিচালন কমিটির সভায় আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।
অভিভাবকরা বলছেন, এভাবে শাসন কখনোই কাম্য নয়। ওই শিক্ষকের আরও সহনশীল হওয়া উচিত ছিল।