২০১০ সালে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত এলাকার পন্ডিত রঘুনাথ মুর্মু আবাসিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নেন কৌশিক চট্টোপাধ্যায়। তখন থেকেই স্কুলটিকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন তিনি। প্রতিবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে দুর্দান্ত ফলাফল করে এই বিদ্যালয়টি। কৌশিক বাবুর বাঁকুড়ার শিক্ষাক্ষেত্রে এবং সামাজিক ক্ষেত্রে অবদানগুলিকে সম্মান জানিয়ে আগামী ৩১ তারিখ দিল্লির অশোকা ভবনে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট প্রোটেকশন কমিশনের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হবে ‘রাষ্ট্রীয় অশোক সম্মান’!
advertisement
২০২৫ সালে পশ্চিমবঙ্গ থেকে এই সম্মান পাচ্ছেন বাঁকুড়ার কৌশিক চট্টোপাধ্যায় এবং চিকিৎসক ডক্টর প্রভাস দাস। এর আগেও বিদ্যালয়ে শিশু বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য ২০১৩ সালে ইউনিসেফ-এর শিশুমিত্র সম্মান পেয়েছিলেন কৌশিকবাবু। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও ২০২১ সাল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর পর চারবার সাঁওতালিতে রাজ্যে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন এই বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা।
কৌশিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি ২০১০ সালে স্কুলের প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি, তখন থেকেই স্বপ্ন ছিল স্কুলটিকে গড়ে তুলব। যতটা পেরেছি করেছি। তার জন্য মানুষের সহযোগিতা পেয়েছি। ‘রাষ্ট্রীয় অশোক সম্মান’ পাওয়ার জন্য কাজ করার উৎসাহ আরও বেড়ে গেল। খুবই আনন্দ হচ্ছে।’
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী