মৃত মিজানুরকে খুনের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত তাঁর সম্পর্কে ভাই, বনগাঁ রাখাল দাস হাই স্কুলের ইংরেজির শিক্ষক মুসিয়ার রহমান। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গোবরডাঙা থানা এলাকায় সন্দেহজনকভাবে গাড়ির নম্বর প্লেট ঢেকে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিলেন ঐ শিক্ষক। গোবরডাঙা থানার এক পুলিশ আধিকারিকের সন্দেহ হলে তিনি গাড়িটির পিছু নেন। এরপর প্রায় ২ কিমি ধাওয়া করে পুলিশ তাঁকে থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কথায় অসংগতি মেলায় নিয়ে আসা হয় থানায়।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলের অধিকার যাত্রায় পা মেলালেন আশি পেরোনো দুই বৃদ্ধা
এরপরই রীতিমত চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যায় পুলিশের। ধৃত শিক্ষকের শরীরে রক্তের দাগ দেখা যায়। তার কাছ থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। ব্যাগের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় দুটি গ্লাভস, একটি স্যানিটাইজার, সাতটি রুমাল। তার মধ্যে একটি রুমাল রক্তমাখা ছিল। একসেট নতুন জামা প্যান্ট সহ কালো তিনটি গামছাও ছিল তাঁর কাছে। জেরায় অভিযুক্ত শিক্ষক পুলিশকে জানান, দাদাকে বাইকে করে নিয়ে গিয়ে খুন করে বাড়ি ফিরছিলেন। তাঁর কাছ থেকে দাদার ব্যবহারের রক্তমাখা ফোনও উদ্ধার হয়। এরপর গোবরডাঙা থানার পুলিশ অভিযুক্ত মুসিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করে। গোটা ঘটনার বিবরণ শুনে রীতিমত চমকে উঠেছে এলাকার মানুষ।
রুদ্রনারায়ণ রায়