হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন বলতে তিন শতাব্দীর প্রাচীন ঐতিহাসিক বটগাছ। প্রায় ১০৯ হেক্টর জমির উপর বিভিন্ন ধরনের বিরল প্রায় ১২০০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে। তবে এবার ২০০ বছর পর আবার চা বাগিচা ফিরে আসছে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন। এই গার্ডেন সারাদেশের মানুষের কাছে আকর্ষণের। এবার আরও আকর্ষণ বাড়তে চলেছে মানুষের। পুরনো ইতিহাস পুনরজ্জীবিত হতে চলেছে বোটানিক্যাল গার্ডেনে। ইতিমধ্যেই হাফ একর জমির মাটি পরীক্ষার পর চা চাষের উপযুক্ত করে চারা গাছ লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিখ্যাত বটগাছ ও কিংস লেকের কাছেই গড়ে উঠছে চা বাগিচা।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
সুগন্ধি পানীয় হিসেবে পৃথিবী বিখ্যাত চা। ২০০ বছর আগে দেশের মধ্যে প্রথম চা ও কফির চাষ শুরু হয়েছিল হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেনে। ১৮২৩ সালে ব্রিটিশদের হাত ধরে ভারতবর্ষে চা চাষের সূচনা হয়েছিল। মূলত পৃথিবী জুড়ে চা ব্যবসায় চীনা আধিপত্য কমাতে চা ও কফি চাষের জন্য সে সময় ব্রিটিশরা বেছে নিয়েছিল ভারতবর্ষের মধ্যে এই বোটানিক্যাল গার্ডেনকে। যদিও অনুকূল পরিবেশ না থাকায় চা চাষের জন্য প্রায় এক দশক পর উত্তরবঙ্গে তথা দেশের অন্য প্রান্তে চা চাষ শুরু হয়। এরপর ধীরে ধীরে চা চাষ প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়ে বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে।
আরও পড়ুন: বাড়িতে খুব সহজে বানিয়ে নিন কুলচা! জানুন সহজ রেসিপি
আবারও উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে কয়েকটি প্রজাতির চা গাছ লাগানো হচ্ছে হাওড়ার বোটানিক্যাল গার্ডেন। যে গাছগুলি দক্ষিণবঙ্গের এই আবহাওয়ায় সহজে টিকে থাকতে পারে। এবার দক্ষিণবঙ্গে থেকেই চা গাছ ও চা বাগিচা দেখার সুযোগ মিলবে মানুষের। তাও আবার ঐতিহ্যবাহী বোটানিক্যাল গার্ডেনের মধ্যে। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেন পরিদর্শনে আরও আগ্রহ বা আকর্ষণ বাড়বে, তা বলা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে বি গার্ডেন ডাইরেক্টর দেবেন্দ্র সিং জানান, পুরনায় ইতিহাস পুনরুজ্জীবিত করতে বোটানিক্যাল গার্ডেনে আবারও চা গাছ লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রদর্শনী হিসাবে এই চা বাগান তৈরি। এই চা বাগানের পাশাপাশি ভারতবর্ষে চা চাষের সূচনার ইতিহাস মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।
রাকেশ মাইতি