ধান কাটার পাশাপাশি এখন চলছে আলু বসানোর প্রস্তুতি। তার জন্য প্রয়োজন সুষম সারের। সেই সারের কৃত্রিম অভাব তৈরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। কৃষকদের বক্তব্য এমআরপির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ দামে সার কিনতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিটি প্যাকেট সারের সঙ্গে অনুখাদ্য কিনতে হচ্ছে। নচেৎ সার দেওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: হঠাৎ আরও বিপদে অনুব্রত মণ্ডল! রাতে অভিযান, শুক্রবার তলব এক ব্যক্তিকে, কে এই নুর?
এই অভিযোগ পাওয়ার পর কৃষি দপ্তরের একটি দল অভিযানে নামে। জামালপুরের বিভিন্ন সারের দোকানে দিনভর অভিযান চালায় তারা। দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে সঠিক দামে চাষিদের প্রয়োজন অনুযায়ী সার বিক্রি করতে বাধ্য করলেন আধিকারিকরা। সার বিক্রির ক্ষেত্রে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে বলে জেলা কৃষি দপ্তরে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। জেলা উপ কৃষি আধিকারিক আশিস কুমার বারুই বলেন, সার নিয়ে কোনও রকম লিখিত বা মৌখিক অভিযোগ এলেই সেখানে অভিযান চালানো হবে। চাষিরা যাতে নির্ধারিত মূল্যে প্রয়োজনের সার কিনতে পারেন তা নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: গাঁইতি, শাবল, বাঁশ নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা, মধ্যরাতে ঘেরাও মুক্ত বিশ্বভারতীর উপাচার্য
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সারের কালোবাজারি রুখতে মহকুমা স্তরে টাস্ক ফোর্স গঠন করছে কৃষি দপ্তর। সেই সঙ্গে কালোবাজারির প্রমাণ মিললে ডিস্ট্রিবিউটর, ডিলার, সমবায় সমিতি সহ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জেলা কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, বেআইনিভাবে সার মজুত করে কালোবাজারি করার চেষ্টা হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। জেলায় এই মুহূর্তে পর্যাপ্ত পরিমাণে সার রয়েছে। তাই সারের অভাব হওয়ার কথা নয়।