রাজ্যে লকডাউনের মতো বিধিনিষেধ জারি হওয়ায় এবং করোনা সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বাড়তে থাকায় গত ১৫ মে তারাপীঠ মন্দির বন্ধ হয়ে যায়৷ শুধুমাত্র নিয়ম মেনে মায়ের নিত্যপুজো করতেন পূজারীরা৷ বন্ধ রাখা হয়েছিল মন্দিরের দু'টি প্রবেশপথও৷
তারাপীঠ মন্দিরের উপরেই হোটেল ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে অটো, টোটো চালক, ফুল, ডালা বিক্রেতার মতো অসংখ্য মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল৷ মন্দির বন্ধ থাকায় তাঁরাও বিপাকে পড়েছিলেন৷ মন্দির খোলার খবরে তাই তাঁদের মধ্যেও স্বস্তি ফিরেছে৷ রাজ্যে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটা কমায় আগামী বুধবার থেকে সরকারি বিধিনিষেধও কিছুটা শিথিল করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ফলে আগের মতো না হলেও অন্তত স্থানীয় মানুষ মন্দিরে পুজো দিতে আসবেন বলে আশাবাদী মন্দিরের উপরে নির্ভরশীল ব্যবসায়ী বা অটো চালকরা৷
advertisement
আগে মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকে ভক্তরা অনেকেই তারা মায়ের বিগ্রহ স্পর্শ করে আশীর্বাদ নিতেন৷ মা তারার বিগ্রহের ছবিও তুলতেন বহু মানুষ৷ কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির কথা মাথায় রেখে আপাতত ভক্তরা ছবি তোলা বা মাকে স্পর্শ করতে পারবেন না৷ গর্ভগৃহের ভিতরে ঢুকতে পারলেও দূর থেকেই পুজো দিতে হবে ভক্তদের৷ মন্দির বা গর্ভগৃহের ভিতরে কোনওভাবেই জমায়েত করতে দেওয়া হবে না৷
Akshay Dhibar