ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা! গোটা দেশ জুড়েই লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। পশ্চিমবঙ্গের অবস্থাও ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন তারাপীঠ রামপুরহাট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (TRDA)।
আরও পড়ুন: বিজেপি-তে ডামাডোল চলছেই, এবার রাজ্যে দলের সব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়লেন শান্তনু ঠাকুর
তারাপীঠ রামপুরহাট ডেভেলপমেন্ট অথরিটির তরফে জানানো হয়েছে, মন্দিরে (Tarapith Temple) প্রবেশ করার জন্য অনলাইনে বুকিং করা চলবে না। যাঁরা এই বুকিং করেছে, তা বাতিল করা হবে। একসঙ্গে ৫০ জন পুন্যার্থী মন্দিরের গর্ভগৃহে ঢুকতে পারবেন, তবে মাতৃমূর্তি স্পর্শ করতে পারবেন না, শুধুমাত্র মাতৃমূর্তির চরণে অঞ্জলি দিতে পারবেন পুন্যার্থীরা। এছাড়াও, অনলাইনে তারাপীঠের হোটেল বুক করতে পারবেন না পর্যটকেরা। শশরীরে তারাপীঠে এসেও তাঁরা হোটেল বুক করতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট ইছু জানানো হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন: খেজুরিতে বিস্ফোরণে মৃত ১, গুরুতর আহত ৩! ঘটনা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর
জুলাই মাসে তারাপীঠে (Tarapith Temple) প্রবেশ পথে বসানো হয় কোভিড পরীক্ষার জন্য কিয়স্ক পয়েন্ট। তারাপীঠ মন্দির প্রবেশ করার মূল তিনটি রাস্তার মোড় অর্থাৎ মোট তিন জায়গায় এই কিয়স্ক পয়েন্ট তৈরি হয়। কিয়স্ক পয়েন্ট রয়েছে বেলিয়া মোড়, আটলা মোড়ে ও ফুলিডাঙা মোড়ে। বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীদের করোনা পরীক্ষা করার পরই তারপর মন্দির প্রবেশ করার অনুমতি মেলে।
২০২০ সালে টানা ৪২ দিনের জন্য বন্ধ ছিল তারাপীঠের মন্দির। এমনকী, কৌশিকী অমাবস্যা এবং রথযাত্রার সময়ও বন্ধ রাখা হয়েছিল মন্দির। ২০২১ সালেও একই নিয়ম মেনেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। কৌশিকী অমাবস্যা এবং রথযাত্রার সময় টানা ১৫ দিন মন্দির বন্ধ ছিল।
রাজ্য ও কলকাতা শহরে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ (Covid 19)। করোনার এই নতুন করে সংক্রমণ বৃদ্ধি নিয়ে নানারকম সংশয় তৈরি হয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। চিকিৎসা ব্যবস্থা ঠিক কী রকম অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে, এ নিয়েও নানা মত তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার এই সমস্ত বিষয় নিয়েই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে সাংবাদিক বৈঠক করলেন চিকিৎসকরা। উপস্থিতি ছিলেন চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী, দীপ্তেন্দ্র সরকার, কুণাল সরকার ও যোগীরাজ রায়।
বৈঠকের শুরুতেই চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, "তৃতীয় ঢেউয়ে আমরা প্রবেশ করে গিয়েছি। যখন দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন করে করোনা ছড়াতে শুরু করে, সেই সময়ে মাত্র ৭ দিনে সংক্রমণ বেড়েছিল ১০০ শতাংশ। তাই আমাদের সতর্ক হতে হবে। মাস্ক ছাড়া আমাদের চলবে না। এটা ভাবার কারণ নেই যে, কারওর এক বার হয়ে গিয়েছে বলে আর করোনা হবে না। প্যারাসিটামল হল আসল ওষুধ। শরীরে রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে শরীর অনুযায়ী বিশেষ ওষুধ খেতে হবে। তবে পাঁচ-সাত দিনে সকলেই সুস্থ হয়ে উঠছেন, এটা ভাল লক্ষণ।''