আর এর পরেই তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে বৈঠকে মন্দির কমিটিকে ডেকে টাকা নিয়ে মায়ের দর্শনের ব্যবস্থা বন্ধ করার নির্দেশ দিলেন মহকুমা শাসক অশ্বিন বি রাঠোর। এর সঙ্গে খুব শীঘ্রই সকল সেবায়েতকে নিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি প্রতি মাসে রিভিউ মিটিং হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায়। মূলত মোটা অঙ্কের টাকা ফেললেই তারাপীঠ মন্দিরে চটজলদি মা তারার দর্শন হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ দর্শনার্থীদের।
advertisement
আরও পড়ুন : শুরু হল অগ্রহায়ণ মাস! মুসুরডাল-সহ ৩ খাবার দাঁতে কাটবেন না ভুলেও! রোগ-ব্যাধিতে তছনছ শরীর! চুরমার জীবন!
ভিআইপি লাইনে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ করিয়ে মা তারার দর্শন করানোর ফলে সাধারণ লাইনের যে সমস্ত পুণ্যার্থীরা রয়েছেন তাঁদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হচ্ছে। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এই অভিযোগ পেয়ে প্রাক্তন জেলাশাসক বিধান রায় মন্দির কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। তিনি পরিষ্কার ভাবে জানিয়েছিলেন এমনটা হতে থাকলে ট্রাস্টি গড়ে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি ঠিক করে দিয়েছিলেন, প্রথম এক ঘণ্টা সাধারণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা পুণ্যার্থীদের প্রবেশ করানো হবে। পরে ভিআইপি লাইনে থাকা পুণ্যার্থীদের প্রবেশ করানো হবে।
নিয়ম জারি ছিল যে ভিআইপি লাইনে পুজো দেওয়ার জন্য আগে মন্দির কমিটির কাছ থেকে একটি বিশেষ কুপন সংগ্রহ করতে হবে। তার পর মোবাইল জমা নিয়ে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করানো হবে ভক্তদের। তবে অভিযোগ, কিছুদিন সেই নিয়ম জারি থাকার পর আবার টাকার খেলা শুরু হয়েছে মন্দির চত্বরে। সেই সব কিছু বন্ধ করার জন্য রামপুরহাটের মহকুমা শাসক তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন মন্দির কমিটির পদাধিকারীদের ডেকে তা বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি মন্দির কমিটির সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
