তবে এবার তারাপীঠে আগত দর্শনার্থীদের জন্য সুখবর। একদিকে যখন খুব শীঘ্রই তারাপীঠে গড়ে উঠছে ৫১ সতীপীঠের আদলে মন্দির। ঠিক অন্য জায়গায় খুব শীঘ্রই গড়ে উঠতে চলেছে বারাণসীর আদলে সন্ধ্যা আরতি।
আরও পড়ুন: ‘আটকাবার চেষ্টা করতেই আমাকে…’ মাদক খাইয়ে ধর্ষণ! সোশ্যাল মিডিয়ার বন্ধুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক তরুণী
advertisement
গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছা প্রকাশ করেন খুব শীঘ্রই তারাপীঠে সন্ধ্যা আরতির প্রস্তুতি শুরু হবে। তবে বারানসীতে গঙ্গার ধারে সন্ধ্যা আরতি হয়ে থাকে কিন্তু তারাপীঠে তো কোনও গঙ্গা নেই তাহলে কীভাবে সম্ভব এই সন্ধ্যা আরতির?
এই বিষয়ে তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় জানান, তারাপীঠের দ্বারকা নদী উত্তর বাহিনী নদী। শাস্ত্রমতে দ্বারকানদীতে স্নান করলে গঙ্গাস্নানের সমান পূর্ণ অর্জন হয়ে থাকে। তারাপীঠে সন্ধ্যা আরতির প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন পূর্ণ লাভের জন্য তারাপীঠে গঙ্গা আরতি ধর্মীয় পরম্পরায় আলাদা সংযোজন ঘটাবে।
কলকাতা থেকে আগত এক দর্শনার্থী সন্ধ্যা রানী মুখার্জি জানান ‘‘বারানসীর আদলে সন্ধ্যা আরতি তারাপীঠে করা হলে আমাদের খুব ভাল হবে। মায়ের দর্শনের পাশাপাশি সন্ধ্যা আরতি দেখা যাবে।’’ এতে তারাপীঠে দর্শনার্থীর সংখ্যা আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে সেটা বলা যেতেই পারে।
বামাক্ষ্যাপার ভক্তি মার্গের এই অনন্য ভূমিকে আন্তর্জাতিক স্তরের রূপ দেওয়ার প্রয়াসে প্রশংসাও করছেন তারাপীঠ মন্দিরের পুরোহিতরা। তারা বলছেন গঙ্গাসাগরে তারাপীঠকে তুলে ধরা বা ধর্মীয় পর্যটনের মানচিত্রে এই কালি ক্ষেত্রকে যুক্ত করার অর্থ সামাজিক দিক দিয়েও বীরভূমের সুবিধা করে দেবে।
প্রসঙ্গত বেশ কয়েকদিন আগে বোলপুর কঙ্কালীতলা মন্দিরে বেনারসের আদলে সন্ধ্যা আরতি শুরু হয়েছে। এবার তারাপীঠের সেই সন্ধ্যা আরতি শুরু হলে অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
সৌভিক রায়