শুক্রবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের কান্দি বিশ্রামতলা এলাকায় ৪৭তম বর্ষে মা তারার পুজোর উদ্বোধন করলেন এলাকার বিধায়ক অপূর্ব সরকার। প্রতি বছরের মতো এবারও অগ্রায়ণের অমাবশ্যা তিথিতে শনিবার পুজোর আয়োজন করা হয়। তারা মায়ের পুজা ঘিরে টানা ৭ দিন ধরে চলবে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পুজা মন্ডপের পাশে এলাকার ছেলে মেয়েদের নিয়ে একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। এদিন পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধায়ক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কান্দির পৌরপিতা জয়দেব ঘটক, কান্দি মহকুমা শাসক উৎকর্ষ সিং-সহ বিশিষ্ট জনেরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ হাতে সময় একেবারে কম! ফাঁকা হয়ে যাবে খড়গপুর? কী ঘটছে সেখানে? ভয়ঙ্কর রিপোর্ট
মাতারার মর্মরপ্রস্তর মুর্তি উন্মোচনের পর প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষ্যে শনিবার সকাল থেকেই চলে বিশেষ হোমযজ্ঞ ও পুজোপাঠ অনুষ্ঠান। ধর্মীয় রীতিনীতি মেনেই হোমযজ্ঞের আয়োজন করা হয়। কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকারের জানিয়েছেন, অন্যান্য বছরের মত এবারও জাতি ধর্ম নির্বশেষে পুজোর আনন্দে মেতেছে আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষ। তারামা পূজো উপলক্ষে বসেছে মেলা। মেলা চলবে আগামী সাতদিন ধরে। সারা বছর মাতারা পুজো চলবে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ বাংলার ‘অ্যামাজন’ কোথায় জানেন? প্রতিবার ভিড় জমে শীতে, এবারে হতাশ পর্যটকরা! ব্যাপক সমস্যা পর্যটনে
কথিত আছে, আজকে থেকে ৪৭ বছর আগে প্রয়াত তারাশঙ্কর উপাধ্যায় সহ এলাকার কয়েকজন বন্ধু মিলে এই পুজোর প্রথম সুচনা করা হয়। বীরভূমের তারাপীঠের মা তারার আদলে তারা মায়ের মুর্তি তৈরি করে পুজো করা হয়। এলাকার বাসিন্দাদের মঙ্গল কামনায় এই পুজোর প্রচলন করা হলেও যা আজও চলে আসছে। তবে এবার স্হায়ী মুর্তি করেই পুজোর প্রচলন শুরু হতেই খুশি সকলেই। তবে এই পুজো কে কেন্দ্র করে সাতদিন ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চলবে মেলা। শীতের আমেজ নিয়ে মেলাতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন আট থেকে আশি সব বয়সের মানুষজন।
কৌশিক অধিকারী