অভিনেতা হিসেবে তাপস পালের প্রথম আবির্ভাব ১৯৮০ সালে তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি’ ছবিতে৷ প্রথম ছবিতেই তিনি নায়ক হিসেবে সুপারহিট৷ এর পর ‘বৈদুর্য রহস্য’, ‘তুফান’, ‘সাহেব’, ‘পারাবত প্রিয়া’, ‘দীপার প্রেম’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’, ‘গুরু দক্ষিণা’, ‘প্রতীক’, ‘আপন আমার আপন’, ‘মেজো বউ’, ‘মায়ের আঁচল’-সহ একাধিক বক্স অফিস সফল ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি৷ মূলত রোম্যান্টিক নায়ক হিসেবে জনপ্রিয় তাপস পাল নিজেকে নতুন রূপে তুলে ধরেছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্তর ‘উত্তরা’ ও ‘মন্দ মেয়ের উপাখ্যান’ ছবিতে৷
advertisement
নায়ক হিসেবে তাপস পালের জনপ্রিয়তা কার্যত খণ্ডিত হয়েছিল তাঁর পরবর্তী জীবনে৷ ২০০১ থেকে ২০০৬ এবং ২০০৬ থেকে ২০০৯ অবধি তিনি ছিলেন আলিপুরের তৃণমূল বিধায়ক৷ পরে ২০০৯ সালে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ হন৷ দীর্ঘ দিন তিনি ছিলেন এই কেন্দ্রের সাংসদ৷
আরও পড়ুন : একই বাড়িতে থেকেও বন্ধ মুখ দেখাদেখি! পুরভোটের জেরে ফাটল স্বামী স্ত্রী সম্পর্কে
রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই একাধিক বিতর্কের কেন্দ্রে ছিলেন তিনি৷ রোজভ্যালিকাণ্ডে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তিনি গ্রেফতার হন৷ এক বছরেরও বেশি সময় কারাবন্দি ছিলেন সিবিআই-এর জিম্মায়৷ জামিনে কারামুক্তির পরও জীবন মসৃণ হয়নি৷ দীর্ঘ রোগভোগের পর মুম্বইয়ে হাসপাতালে ২০২০ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি প্রয়াত হন ৬১ বছর বয়সে৷
আরও পড়ুন : ম্লান মোমো, চাউমিন! শীত পিছু হটতেই ভিড় ফুচকাকাকুর পাশে
আরও পড়ুন : তিনি এলেই চিতল, কাতলার হরেক পদ রান্না হত, স্মৃতিতে স্তব্ধ বাপ্পি লাহিড়ির মাসির বাড়ি
প্রয়াত অভিনেতার স্মরণে শুক্রবার চন্দননগরের ধারাপাড়ায় তাঁর পৈতৃক ভবন সংলগ্ন এলাকায় এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হল। বাল্যবন্ধুর স্মৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন উপস্থিত সকলে। চলে স্মৃতিচারণ।
( প্রতিবেদন-রানা কর্মকার)