মালদহ : পুরভোটের প্রার্থীপদ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর পারিবারিক সম্পর্কে টানাপড়েন। মালদহের ইংরেজবাজারের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর পরিতোষ চৌধুরীর স্ত্রী কাকলি চৌধুরী এবার নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই নেমেছেন। তৃণমূলের প্রথম তালিকায় নাম ছিল কাকলি চৌধুরীর। তাঁর নামে তৃণমূলের প্রতীক এঁকে দেওয়াল লেখাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, পরে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিট পান মনীষা সাহা। আর দখল করা দেওয়ালে নির্দল প্রার্থীর "সাইকেল" চিহ্ন এঁকে দেন কাকলির অনুগামীরা।
এই পরিস্থিতিতে কাকলি ও তাঁর স্বামী পরিতোষ, উভয়েই দাবি রাজনীতির পথ আলাদা হয়ে যাওয়ায় একই বাড়িতে থেকেও তাঁরা দুজনে নাকি এখন পারিবারিক সম্পর্ক রাখেন না। একই বাড়ির পৃথক পৃথক তলায় থেকে পছন্দমতো আলাদা দলের রাজনীতি করছেন। পুরভোটের উত্তাপে চৌধুরী ভবনে এখন আড়াআড়ি ভাগ। (Malda Conflict)
স্বামী পরিতোষ চৌধুরী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী তৃণমূল কাউন্সিলর। মালদা শহরের রাজনীতিতে পরিচিত মুখ। স্বামীর দাবি, স্ত্রীকে বুঝিযেও মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় একই বাড়িতে থাকছেন। কিন্তু, নিজেরা পারিবারিক সম্পর্ক রাখছেন না।
আরও পড়ুন : ম্লান মোমো, চাউমিন! শীত পিছু হটতেই ভিড় ফুচকাকাকুর পাশে
পরিতোষবাবুর স্ত্রী কাকলি দেবী ২০০৫ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত সিপিএম কাউন্সিলর ছিলেন। কিন্তু, তাঁর দাবি, স্বামীর সঙ্গে তিনি কখনও তৃণমূলে যোগ দেননি। তবে, তৃণমূলের প্রথম তালিকায় নাম থাকার পরও বাদ গিয়ে মনক্ষুণ্ণ তিনি। তাঁরও দাবি, একই বাড়িতে থাকছেন। কিন্তু, স্বামী-স্ত্রী রাজনৈতিক কারণে এখন সম্পর্ক রাখছেন না। একই বাড়ির আলাদা তলায় দু’জনে থাকেন।
আরও পড়ুন : তিনি এলেই চিতল, কাতলার হরেক পদ রান্না হত, স্মৃতিতে স্তব্ধ বাপ্পি লাহিড়ির মাসির বাড়ি
এদিকে "নির্দল" হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় কাকলিদেবীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন, বিকেলে তৃণমূল জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বিদায়ী কাউন্সিলর পরিতোষ বাবুকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, প্রচারপত্র বিলি করে স্ত্রীকে লড়াই থেকে বিরত করতে হবে। তা না হলে বহিষ্কারের পদক্ষেপ নেবে দল ।জানা গিয়েছে, দলকেও নাকি পরিতোষবাবু জানিয়েছেন, স্ত্রী আলাদা মতাবলম্বী। নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক নেই। স্বেচ্ছায় নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়েছেন স্ত্রী। এতে তাঁর কোনও হাত নেই বলেও দাবি। তিনি স্ত্রীর হয়ে প্রচারও করছেন না।
আরও পড়ুন : অ্যাপ ক্যাব সংস্থায় ভাড়া দেন নিজেদের গাড়ি...তার পর কী হল? চরম প্রতারিত বাংলা ছবির অভিনেত্রী ও তাঁর স্বামী
যদিও অন্যান্য প্রার্থীদের দাবি, স্বামী -স্ত্রীর সম্পর্কে তাঁরা জানেন না। দলের বহিষ্কারের খাঁড়া থেকে বাঁচতেই এখন দুজনে পৃথক অবস্থান নিয়ে থাকতে পারেন, এমনটাই বলছেন তৃণমূল প্রার্থী মনীষা সাহা এবং বিজেপি প্রার্থী সন্দীপা চক্রবর্তী।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda