গত ১৩ মার্চ খুনের ঘটনা ঘটে। জেলা পুলিশের হাতে অভিযুক্ত প্রথম গ্রেফতার হয় ১৫ মার্চ। জেলা পুলিশ নরেন, দীপক, কলেবর, আশিককে গ্রেফতার করে। এরপর হাইকোর্টে নির্দেশে সিবিআই তদন্ত ভার হাতে নেয়। সিবিআই এরপর সত্যবান প্রামানিককে গ্রেফতার করে। প্রথম গ্রেফতারের অষ্টআশি দিনের মাথায় চার্জসিট পেশ। পুরুলিয়া আদালতে প্রথম চার্জাশিট জমা করবে সিবিআই।
advertisement
আরও পড়ুন: ফাঁসিদেওয়ায় তৃণমূল-দলত্যাগী নির্দলদের কাজিয়া তুঙ্গে, সন্ত্রাসের অভিযোগে উত্তপ্ত এলাকা!
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে ১৩ মার্চ গুলি করে হত্যা করা হয় তপন কান্দুকে। তিনি কাউন্সিলার ছিলেন। ঘটনার তদন্তে নামে জেলা পুলিশের টিম। চারজনকে গ্রেফতার করে। তবে মৃতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু দাবি করেন, সিবিআই তদন্ত করা হোক। কারণ তাঁর অভিযোগ, ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ এই ঘটনায় বিভিন্ন ভাবে প্রভাবিত করছেন। সিবিআই হাইকোর্টে নির্দেশে পর তদন্ত ভার হাতে নেয়। গ্রেফতার করে সত্যবান প্রামানিককে। ঝালদা ঝাড়খণ্ড সীমান্ত লাগোয়া হেসাহেতু গ্রামের বাসিন্দা। যদিও ঝালদা হাটতলা গ্রামে বসবাস করত সত্যবান। সেখানে তাঁর একটি ধাবা রয়েছে। এই ধাবার পাশে নরেন কান্দুর হোটেল আছে। নরেন কান্দুর রাইট হ্যান্ড হিসাবে পরিচিত ছিল সত্যবান।
আরও পড়ুন: সিনেমা শুরুর আগে কেন দেখানো হয় এমন Certificate? এর মানেই বা কী?
হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন সিবিআই ডিআইজি অখিলেস কুমার সিং, জয়েন্ট ডিরেক্টর ঘনশ্যাম উপাধ্যায়। পরিবারের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই। প্রত্যক্ষদর্শী তপন কান্দুর বন্ধু নিরঞ্জন বৈষ্ণব কিছু দিন পর তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সেই ঘটনাও হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করে। পরবর্তীকালে সিবিআই টিম যায়। এবার সেই তপন কান্দু খুনের ঘটনায় চার্জশিট পেশ করতে সিবিআই টিম সকালে পুরুলিয়া আদালতে পৌঁছে যায়।