গ্রামের বিভিন্ন মহিলাকে দীর্ঘদিন ধরে ডাইনি অপবাদ দিয়ে তাদের কাছ থেকে লুটপাট চালাচ্ছিল ওই তান্ত্রিক এবং নানানভাবে দিচ্ছিল তাদের শাস্তি। এমনই অভিযোগ৷ এই ঘটনার পর সোমবার আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা প্রচন্ড ভাবে ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং তারা একত্রিত হয়ে রুখে দাঁড়ায় ডাইনি প্রথার বিরুদ্ধে। এই ঘটনার নিরিখে তান্ত্রিকে নানান ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অস্বীকার করেন সমস্ত ঘটনা। তারপরই এই ঘটনার খবর দেওয়া হয় দুবরাজপুর থানার পুলিশকে। দুবরাজপুর থানার পুলিশ খবর পেয়ে পৌঁছায় ঘটনাস্থলে । ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ওই তান্ত্রিককে নিয়ে আসে, সতর্ক করে ও পরে ছেড়ে দেয়।
advertisement
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গাঁওতা জেলার সম্পাদক রবীন সরেন জানান, "ডাইনি অপবাদ আদিবাসী সমাজ থেকে উঠে যাওয়া দরকার"।আদিবাসী উন্নয়ন গাঁওতা তৎপর ডাইনি অপবাদ রুখতে ও ডাইনি প্রথার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে। সোমবার বীরভূমের দুবরাজপুর থানার ওই গ্রামে ৭ জনকে ডাইনি অপবাদ দেওয়া হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়ার পর পরই ওই গ্রামে পৌঁছান গাঁওতার বিভিন্ন নেতৃত্ব। বেশ কয়েকটি গ্রামের আদিবাসীরাও জমায়েত হন ঘটনাস্থলে। সেখানে বসে সমস্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক হয়। সিদ্ধান্ত হয়, দেওয়া যাবে না কাওকে এমন মিথ্যে অপবাদ। একবিংশ শতাব্দীতেও কেন আদিবাসীদের এমন অপবাদ? এখনও মানুষ কেন বিশ্বাসী এই ডাইনি প্রথায়? সেই প্রশ্ন ওঠে৷ তবে মানুষকে বোঝানো হচ্ছে। সবাই বুঝতেও পারছেন। তাই হয়তো আদিবাসীরা একজোট হয়ে এই আস্ফালন। এমন মন্তব্যই জানিয়েছেন আদিবাসী উন্নয়ন গাঁওতার জেলা সম্পাদক রবীন সোরেন।