তমলুক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম এসেছে একাধিক নেতার ঘনিষ্ঠদের। এর মধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরে। তমলুক পুরসভার এক পৌরপিতার অভিযোগ, “দলের নেতারা টাকা নিয়ে মুখ খুলছে না, গোপনে যোগাযোগ রেখেছেন শুভেন্দু অধিকারীর সাথে“। এখানেই শেষ নয়, এই অভিযোগ করে জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবস করলেন তৃণমূল কাউন্সিলর।
advertisement
কান ধরে ক্ষমা চাওয়ার সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। পুর-দুর্নীতি নিয়ে মুখ খুলে বিপাকে পড়েছিলেন তমলুক পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি। যা নিয়ে কান ধরে ক্ষমা চেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন ওই তৃণমূল নেতা। এবার শুধু কান ধরে ক্ষমা চাওয়া নয়, রীতিমতো কান ধরে উঠবস করতে দেখা গেলো ওই তৃণমূল নেতাকে।
তমলুক পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি রাজ্যের যুব সহ-সভাপতি ও বটে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন তিনি। সম্প্রতি নন্দীগ্রামে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে শুভেন্দু বলেন, আমার কোনও আত্মীয়কে এই লিস্টে পাবেন না। যা নিয়ে পার্থসারথি মাইতি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী সবচেয়ে বেশি চুরি করেছে, সেই শুভেন্দু অধিকারী নন্দীগ্রামে বড় বড় কথা বলছেন। প্রসঙ্গত এই লিস্ট ২০১৬ সালের প্যানেলের। যে সময় শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলে ছিলেন। তিনি আসল দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড, কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূল নেতারা নিজেদের পদ বাঁচানোর জন্য তার নাম মুখে আনছেন না। এই নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের কোনও তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলছেন না, সেই জন্য সমস্ত তৃণমূল নেতৃত্বের হয়ে জনসাধারণের কাছে কান ধরে ক্ষমা স্বীকার করছি“।
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “কোনও তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুললেই হয়তো তার পদ চলে যাবে, সেই ভয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব মুখ খুলতে নারাজ“। ক্ষমা শিকারের ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল সমাজমাধ্যমে, যা নিয়ে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। এই ঘটনায় বিরক্ত তৃণমূল নেতৃত্বও।