TRENDING:

Tamluk Doctor Death Update: কেন হাতে চ্যানেল করতে হয় তমলুকের তরুণী চিকিৎসকের, মৃত্যু রহস্যে কাটল জট?

Last Updated:

তমলুকের একটি ভাড়া বাড়িতে নিজের মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই মহিলা চিকিৎসক৷ শুক্রবার তমলুকের ভাড়া বাড়িতে স্নান সারার পর আচমকাই পড়ে যান শালিনী৷

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তমলুকে মহিলা চিকিৎসকের রহস্য মৃত্যুতে এখনও কাটল না জট৷ বরং পুলিশি তদন্তে যে তথ্যগুলি উঠে এসেছে, তাতে ধোঁয়াশা আরও বেড়েছে৷ তবে মৃত চিকিৎসকের সঙ্গে অপারেশন থিয়েটারে থাকা এক চিকিৎসকের দাবি, শুক্রবার গ্যাসের সমস্যা হওয়ার কারণে তমলুকের নার্সিংহোমেই হাতে চ্যানেল করে ইঞ্জেকশন নিয়েছিলেন শালিনী দাস নামে ওই তরুণী চিকিৎসক৷
মৃত চিকিৎসক শালিনী দাস৷ (ডানদিকে) শুক্রবার সকালে তমলুকের নার্সিংহোমে তরুণী চিকিৎসক৷
মৃত চিকিৎসক শালিনী দাস৷ (ডানদিকে) শুক্রবার সকালে তমলুকের নার্সিংহোমে তরুণী চিকিৎসক৷
advertisement

গতকাল তমলুকের ভাড়া বাড়িতে মৃত্যু হয় শালিনী দাস নামে ৩১ বছর বয়সি ওই চিকিৎসকের৷ তিনি গত তিন মাস কাঁথি সাব ডিভিশন হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন৷ তার আগে তমলুক হাসপাতালেও দু বছর কাজ করেছেন তিনি৷ এর পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিং হোমে রোগীদের অ্যানেস্থেশিয়া করাতেন তিনি৷

তমলুকের একটি ভাড়া বাড়িতে নিজের মায়ের সঙ্গে থাকতেন ওই মহিলা চিকিৎসক৷ শুক্রবার তমলুকের ভাড়া বাড়িতে স্নান সারার পর আচমকাই পড়ে যান শালিনী৷ তখন তাঁর মা লক্ষ্য করেন, মেয়ের ডান হাতে একটি স্যালাই দেওয়ার চ্যানেল করা রয়েছে৷ সেখান থেকেই রক্তক্ষরণ হচ্ছে৷ প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতাল, তার পর তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই চিকিৎসককে৷ সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর৷

advertisement

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, গতকাল সকাল সাতটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে প্রথমে মহিষাদলের একটি নার্সিংহোমে যান শালিনী৷ এর পর সকাল ৯.৪৫ মিনিট নাগাদ তমলুকের আরও একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে যান তিনি৷ সেখানেও এক মহিলা রোগীকে অস্ত্রোপচারের সময় অ্যানেস্থেশিয়া করান শালিনী৷ অপারেশন থিয়েটারে শালিনী দাসের সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন মধুসূদন সাহু নামে একজন চিকিৎসক৷ তিনি জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের সময় শালিনী জানান তাঁর গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা হচ্ছে৷ ওষুধ খেয়েও তা কমেনি৷ তখন ওই চিকিৎসক তাঁকে হাতে চ্যানেল করে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে অন্য একটি ওষুধ নেওয়ার পরামর্শ দেন৷ এর পরই ওই নার্সিংহোমেই শালিনী দাস নামে ওই চিকিৎসকের হাতে চ্যানেল করে ইঞ্জেকশন দেন নার্স৷

advertisement

শালিনী দাসের সঙ্গে থাকা ওই চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, অপারেশন থিয়েটারে থাকার সময়ই বেশ কয়েকবার শালিনীকে তাঁর মা ফোন করেছিলেন৷ তাঁর মা কোনও একটি জায়গায় যেতে চাইছিলেন, কিন্তু আপত্তি করেন শালিনী৷ বাড়িতে থাকা পরিচারিকাকেও একই নির্দেশ দেন তিনি৷

তমলুকের ওই নার্সিং হোম থেকে টোটোয় চড়ে বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ বাড়ি ফিরে আসেন শালিনী দাস৷ এর পর স্নানে যান তিনি৷ স্নান সেরে বেরনোর পরই বাড়ির চাতালে পড়ে যান ওই তরুণী চিকিৎসক৷ তখনই তাঁর মায়ের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন৷

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
ইতিহাসের শহরে বিষ্ণুপুর কালীবাড়ির পুজো! মুর্শিদাবাদের এই দেবীকে ঘিরে রয়েছে বহু কাহিনী
আরও দেখুন

প্রাথমিক ভাবে পুলিশ এবং শালিনীর সতীর্থ চিকিৎসকরা মনে করছেন, সম্ভবত স্নান করার সময়ই ডান হাতের চ্যানেল খুলে গিয়ে রক্তপাত শুরু হয়৷ আচমকা এই রক্তপাত দেখেই হয়তো ঘাবড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন শালিনী৷ আবার গ্যাস এবং অ্যাসিডিটির সমস্যার বাড়াবাড়ি হওয়ার কারণেও ওই চিকিৎসকের মৃত্যুর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না৷ ঠিক কী কারণে ওই তরুণী চিকিৎসকের এ ভাবে মৃত্যু হল, তা জানতে আপাতত ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ৷

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Tamluk Doctor Death Update: কেন হাতে চ্যানেল করতে হয় তমলুকের তরুণী চিকিৎসকের, মৃত্যু রহস্যে কাটল জট?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল