রবিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ভাত খাচ্ছিলেন। টেবিলে খাওয়ার সামনে একটি টেবিল ফ্যান চলছিল। খাওয়ার মাঝেই সুলেখাদেবী সেই ফ্যানটি সরাতে যান। তখনই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন তিনি। স্বামী রাজু মুদী তখন বাথরুমে ছিলেন। ফিরে এসে দেখেন স্ত্রী অচেতন অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছেন। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার শুরু করেন তিনি। তার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।
advertisement
তড়িঘড়ি সুলেখাদেবীকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। প্রাথমিক অনুমান, ফ্যানের তার বা সুইচবোর্ডে শর্ট সার্কিটের কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এই দম্পতির তিন সন্তান রয়েছে—তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে এখন চিন্তায় পরিবার ও প্রতিবেশীরা। হঠাৎ এমন দুর্ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মৈপিঠ কোস্টাল থানার পুলিশ। বিদ্যুৎ সংযোগ এবং ফ্যানের অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। এই দুর্ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, ঘরের মধ্যেও ছোটখাটো অসতর্কতা কীভাবে বড় বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে।