দশ-পনেরো বছর আগেও আত্মিয়র বাড়িতে গেলে মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে যাওয়া ছিল সৌজন্যর নিদর্শন। কিন্তু সময় বদলেছে, বদলেছে অভ্যাস। এখন আড্ডায় মিষ্টি জায়গা করে নেয় না। বরং ঢুকে গিয়েছে ফ্রেঞ্চ-ফ্রাই, চিপস, পিৎজা, পাস্তা। অতীতে সপ্তাহান্তে পরিবার নিয়ে মিষ্টির দোকানে যাওয়া, স্কুল-ফেরত রসগোল্লা কিংবা মিষ্টি দই খাওয়া ছিল অভ্যাস। এখন সেই জায়গা নিয়েছে বার্গার, কোল্ড ড্রিঙ্কস বা অন্য জাঙ্ক ফুড। এই পরিস্থিতিতে চিন্তিত মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।
advertisement
মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, “বাঙালির সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মিষ্টি। মিষ্টি হারিয়ে যাওয়া মানে এক ঐতিহ্যের বিলুপ্তিতে।” তাঁদের কথায়, স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখেই অনেকে মিষ্টি বর্জন করছে, কিন্তু ভাজাপোড়া দিব্যি খাচ্ছে। সেই কারণে তাঁরা আবেদন জানিয়েছেন, স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ও খাদ্যপ্রেমী মহলের কাছে যাতে মিষ্টি উৎসব বা প্রচারাভিযানের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে ফের মিষ্টির দিকে আকৃষ্ট করা যায়।
একাধিক মিষ্টি ব্যবসায়ীদের কথায়, আগের মতো এখন আর ছাত্র-ছাত্রী বা তরুণ প্রজন্ম মিষ্টির দোকানে আসে না। যাঁরা আসেন, তাঁদের অধিকাংশই মধ্যবয়সী বা বৃদ্ধ। মিষ্টির পরিবর্তে চাউমিন, রোল, মোমো, কচুরি কিংবা পিৎজার মতো খাবারেই মজেছে নতুন প্রজন্ম। ফলে দীর্ঘদিনের পরিবার চালিত মিষ্টির ব্যবসা আজ সংকটের মুখে। মিষ্টি বিক্রেতাদের আশঙ্কা, এই ধারা চলতে থাকলে আগামী দশকে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানগুলি হারিয়ে যাবে শহরের মানচিত্র থেকে।
সুস্মিতা গোস্বামী