আমফানের সময়েও এই সংস্থা কাজ করেছে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ইয়াসেও পিঁছিয়ে থাকলেন না তাঁরা। অশোকনগর থেকে শুরু করে হিঙ্গলগঞ্জ, মৌসুনি আইল্যান্ড সব জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে স্বপ্নসাথী সংস্থা। ২৯-মে অশোক নগরের ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্ত বহু পরিবারের হাতে নগদ টাকা, পোশাক ও শুকনো খাবার তুলে দেওয়া হয়। হিঙ্গলগঞ্জের ৫০০ পরিবারকে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সব কিছুই সরবরাহ করা হয়। উপস্থিত থেকে খাদ্য সরবরাহ করেন স্বপ্নসাথী ফাউন্ডেশন এর সৌরভ দাস, বাশারুল মুন্না , অর্নব ,তন্ময়, দেবজ্যোতি সহ ডি এসপি রথিন বিশ্বাস।
advertisement
এবার তাঁদের পৌঁছে যাওয়ার পালা মৌসুনি দ্বীপে। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন স্বাভাবিক করতেই এই প্রচেষ্টা। একদল শিক্ষিত বাঙালি তরুনদের সম্মিলিত চেষ্টায় ২০১৭ সালে স্বপ্নসাথী ফাউন্ডেশন তৈরি হয় । কোনও ধরনের ডোনেশন বা সরকারি সহযোগীতা ছাড়া অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো শুরু করে তারা। কারও খাদ্য, কারও বস্ত্র, কারও বাসস্থান কিংবা কারও চিকিৎসা সব সাহায্যই চলতে থাকে। বিশেষ করে মেধাবী গরীব শিক্ষাত্রীদের সহযোগীতা করার জন্যই শিক্ষক সৌরভদের মতো মানুষরা এই ফাউন্ডেশন এর সঙ্গে কাজ শুরু করেন । স্বপ্নসাথী ফাউন্ডেশন পার্ক স্ট্রিটে অফিস নেয়, সরকারি ভাবে তারা নথিভুক্ত করেন এন জিও হিসেবে । এখানে সৌরভ এর মতো শিক্ষক যেমন আছেন তেমনি রয়েছেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা থেকে সাংবাদিক ও এন আর আই পর্যন্ত । শুধু বাংলায় নয় পুরো ভারতবর্ষে গরীব ও অসহায়দের জন্য কাজ করছে স্বপ্ন সাথী ফাউন্ডেশন ।