৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটাতে তৃণমূলকে সাহায্য করেছিলেন তৎকালীন সিপিএমের দাপুটে নেতা এবং তমলুকের প্রাক্তন সাংসদ লক্ষ্মণ শেঠ। এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার নাম না করে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গেই অভিষেকের তুলনা টানলেন বিরোধী দলনেতা!
২০০৯ সাল পর্যন্ত তমলুকের সাংসদ ছিলেন লক্ষ্মণ শেঠ৷ তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে নন্দীগ্রাম৷ ২০০৯ সালে লক্ষ্মণ শেঠকে হারিয়ে তমলুকের সাংসদ নির্বাচিত হন শুভেন্দু অধিকারী৷
advertisement
আরও পড়ুন:এখন ভোট হলে কটা সিট পাবে বিজেপি, ফিরহাদের মন্তব্যে তুমুল শোরগোল
গত শুক্রবার ইডি জেরার পর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিনয় মিশ্রের ফোনে যোগাযোগের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এবার তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়াতে পাল্টা অভিষেককেই নিশানা করলেন শুভেন্দু৷
শুভেন্দুর বক্তব্যে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। টানা বেশ কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক মহলে প্রচার চলছে তৃণমূল নাকি ভাঙছে। এমন কি, কলকাতা থেকে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নানা ধরনের ফ্লেক্স-ব্যানার, সেই বিতর্ক আর জল্পনাকে আরও বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু সম্প্রতি যাবতীয় জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ একটাই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নতুন তৃণমূল বলতে তিনি কী বুঝিয়েছিলেন, তারও ব্যাখ্যা দেন অভিষেক৷ যদিও তৃণমূলের অন্দরে নতুন এবং পুরনোর সেই বিভাজনকেই ফের খুঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করলেন শুভেন্দু৷
যে কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'ভাইপো' বলে সম্বোধন করেন। রবিবারের সভাতেও তৃণমূলের লক্ষণ শেঠ হচ্ছে 'ভাইপো' বলে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি৷ তাঁর সঙ্গে বিনয় মিশ্রের কথোপকথনের যে দাবি অভিষেক করেছেন, সেই অডিও ক্লিপ তাঁর ফোন নম্বর সহ প্রকাশের জন্যও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন শুভেন্দু৷ যদিও রবিবার শুভেন্দুর নতুন দাবি নিয়ে শাসক দলের বক্তব্য, 'শুভেন্দু অধিকারী নিজের মতো অন্যকেও বিশ্বাসঘাতক ভাবছেন।'