এদিনের পদযাত্রার পুরোভাগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও (Suvendu Adhikari) দেখা যায় জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে অন্যান্যদের সঙ্গে পদযাত্রায় পায়ে পা মেলাতে। পদযাত্রায় হাঁটতে হাঁটতে শুভেন্দুর মুখে শোনা গেল, 'কাশ্মীর সে কন্যাকুমারী। দেশ হামারি দেশ হামারি'। ব্যারাকপুর ওয়ারলেস মোড় থেকে বারাসাত- ব্যারাকপুর রোড ধরে পদযাত্রা গিয়ে শেষ হয় হনুমান মন্দিরের কাছে।
advertisement
তেরঙ্গা যাত্রা শেষে নাগরিক সমাজ আয়োজিত এক সভা মঞ্চ থেকে বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, 'দেশ বিরোধী শক্তি পশ্চিমবঙ্গকে এখন নিজেদের আশ্রয়স্থল গড়ে তুলেছে। পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা হলে আমরাও যোগী আদিত্যনাথ ও হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো রাষ্ট্র বিরোধী শক্তির ওপর বুলডোজার চালাবো। তিনি আরও বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রাম, প্রতিটি মহল্লা, প্রতিটি পাড়া, প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভারত মাতার জয়জয়াকার হবে। সেই লক্ষ্যেই আমাদের এখন এগিয়ে যেতে হবে"।
প্রধানমন্ত্রীর আবেদনে সাড়া দিয়ে একদিকে যেমন স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষে 'আজাদি কা অমৃত মহোৎসব' উপলক্ষে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে নানান কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। ঠিক তেমনি এদিন ব্যারাকপুর জেলা হিন্দু জাগরণ মঞ্চের উদ্যোগেও আয়োজন করা হয় তেরঙ্গা যাত্রার। বর্ণাঢ্য এদিনে কর্মসূচিতে আদিবাসী সমাজ-সহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের নাগরিকরা অংশ নিয়েছিলেন এই তেরঙ্গা যাত্রায়। তবে এই যাত্রায় বজরং দল, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ বিজেপির বিভিন্ন সাংগঠনিক নেতৃত্ব উপস্থিত থাকলেও পদযাত্রায় চোখে পড়েনি কোনও দলীয় ঝান্ডা। অনেকেই জাতীয় পতাকা নিয়ে পদযাত্রায় পায়ে পা মেলান।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশেও শ্রীলঙ্কার ছায়া? জ্বালানির দামে আগুন! জনজীবনে ভোগান্তি চরমে! বাড়ছে ক্ষোভ
তেরঙ্গা যাত্রা শেষে আগামী ৯ আগস্ট ভারত ছাড়ো আন্দোলনের আশি বছর পূর্তি উপলক্ষে সকলকে সামিল হওয়ার আবেদন জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে 'হর ঘর তেরঙ্গা' কর্মসূচির আবেদন করেছেন দেশবাসীর কাছে তার সফল রূপায়ণে আগামী ১৩ থেকে ১৫ অগাস্ট পর্যন্ত বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে জাতীয় পতাকা সম্মানের সঙ্গে উত্তোলন এবং এখনও যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ডিপি পরিবর্তন করে জাতীয় পতাকার ব্যবহার করেননি তাঁদের কাছেও অবিলম্বে সোশ্যাল মিডিয়ায় তেরঙ্গার ব্যবহারেরও আবেদন জানান শুভেন্দু অধিকারী।