এদিনের মঞ্চে শুভেন্দু দলীয় নেতা ও কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "বালির টাকা তোলে পুলিশ। আই সি। নিচের তলার পুলিশ খারাপ নয়। রেলের কাছে এন ও সি নিয়ে সভা করতে পারলাম। পোস্টার, ব্যানার সবেতে কালিগ্রাম লেখা আছে। মা অন্নপূর্ণার মাটিতে পৌষ সংক্রান্তিতে বর্ধমানে সভা। শপথ নিন। চোর ধরো জেল ভরো। এই জেলাকে সব থেকে অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে। শহরেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। মিথ্যা মামলা, শারীরিক আক্রমণ হয়েছে। বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। জেলার নেতৃত্বকে প্রশংসা জানাই। পুরনো কর্মীরাও সম্পদ।"
advertisement
তিনি আরও বলেন, "অবাধ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এই সভা। পঞ্চায়েত ভোটের দাবিতে সভা করা হচ্ছে। এই সরকারের দেড় বছরের অবস্থা দেখছে মানুষ। সর্বত্র দুর্নীতি। পুলিশকে ব্যবহার করে গণতন্ত্রকে ধূলিস্যাৎ করা হচ্ছে। দল নয় কোম্পানি। ইলেক্টরাল বন্ড সংগ্রহ করেছে ২১ সালে ৪২কোটি, ২২ সালে ৫২৮ কোটি, ১২শ গুণ বেড়েছে। কে দিল টাকা? ৫২৮ কোটি টাকা কে কে দিল? নাম প্রকাশ করতে হবে, না দিলে বের করার দায়িত্ব আমাদের বিরোধী দলনেতা হিসাবে।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা তুমুল আক্রমণ শানান এদিন। শুভেন্দু বলেন, "মেদিনীপুরের লোক মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে দিয়েছে। উনি রেগুলার মুখ্যমন্ত্রী নন। কম্পার্টমেন্টাল মুখ্যমন্ত্রী। দেড় বছরে ৫৮ হাজার চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। ক্যারেক্টার লেস তৃণমূলকে ভোট দেবেন না পঞ্চায়েতে। চাকরি যাওয়ার সংখ্যা ৩০-৪০ হাজারে চলে যাবে কিছুদিনের মধ্যে।"