জানা গিয়েছে, গত ২৩ নভেম্বর খেজুরির বাঁশগোড়ায় তৃণমূল বিজেপি গন্ডগোলের ঘটনায় শনিবার বিকেলে বাঁশগোড়া থেকে বিজেপি কর্মী রবিন মান্নাকে গ্রেফতার করে খেজুরি থানার পুলিশ। এরপর তাঁকে মারিশদা থানায় নিয়ে গিয়ে রাখা হয়। ধৃচ বিজেপি কর্মীর পরিবারের অভিযোগ, রবিন মান্নাকে গ্রেফতারের বিষয়ে তাঁদের কিছুই জানায়নি পুলিশ৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই মারিশদা থানা চত্বরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি র্কর্মীরা৷ খবর পেয়ে শনিবার রাতেই থানায় গিয়ে দলীয় কর্মীর সঙ্গে দেখা করে পাশে থাকার আশ্বাস দেন বিরোধী দলনেতা। কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি৷
advertisement
আচমকাই থানায় ঢুকে পুলিশ আধিকারিকদের কাছে অ্যারেস্ট মেমো দেখতে চান বিরোধী দলনেতা। যদিও মারিশদা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকরা অ্যারেস্ট মেমো দেখাতে পারেনি বলেই পরে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতারের পর তাঁর পরিবারের কাউকে দিয়ে অ্যারেস্ট মেমোয় সই করায়নি পুলিশ৷ যা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের মধ্যে রয়েছে৷
আরও পড়ুন: লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ায় সাফ হবে তৃণমূল! কোতুলপুর থেকে হুঙ্কার শুভেন্দুর
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, আজ ওই বিজেপি কর্মীকে আদালতে পুলিশ পেশ করলে পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকেও আইনজীবীরা পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে অপহরণের অভিযোগে সরব হবেন৷ এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী সোমবার খেজুরি থানা এলাকায় হরতালের ডাক দিয়েছেন বিরোধী দলনেতাা তবে জাতীয় সড়ক এবং জরুরি পরিষেবাকে এই হরতালের আওতার বাইরে রাখা হবে৷ এখানেই শেষ নয়, আগামী সপ্তাহেই গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে আগামী সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করার হুশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা৷
শুভেন্দু বলেন, ‘আমাদের বলা হয়েছে উনি অক্ষত আছেন, কিন্তু দেখা করতে দেওয়া হয়নি৷ আমরা এই বিষয়টি ছাড়ব না৷ ধৃতের স্ত্রীকে দিয়ে আগামী সপ্তাহেই আদালতে মামলা করব৷ খেজুরি এবং মারিশদা থানা আধিকারিকদের পাশাপাশি যাঁর নির্দেশে এসব হচ্ছে, সেই পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকেও মামলায় পার্টি করা হবে৷’