অতি দ্রুততার সঙ্গে, অত্যন্ত গোপনে জমিগুলির পাট্টা সংক্রান্ত নথিপত্র প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে কোনওরকম সমীক্ষা, মাঠ খসড়া, জরিপ ছাড়াই নির্বিচারে জমিগুলির কাগজপত্র তৈরি করা হচ্ছে। এই সকল জমির মধ্যে শ্মশান, কবরস্থান, চা বাগান, বনভূমি, সমাধিস্থল, জনজাতিদের স্বতন্ত্র ব্যবহার্য জমি ইত্যাদি রয়েছে। কারোর সম্পত্তি অথবা ব্যবহারের অধিকার কেড়ে নিয়ে অন্য কাউকে এভাবে দেওয়া যায় না। এটা ক্ষমতার নির্লজ্জ অপব্যবহার। এর ফলে বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হবে।
advertisement
আরও পড়ুন- অশ্রুজলে শেষ বিদায়, কেওড়াতলা মহাশশ্মানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হল ঐন্দ্রিলার
আর এত তাড়া কিসের? কিসের এত লুকোচুরি? ছুটির দিন, রাতের অন্ধকারে এই বিশেষ কাজ করে কাদের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে, কিসের বিনিময়ে? সবাইকে অনুরোধ করছি সজাগ থাকুন, আর এই ধরনের চক্রান্তের বিরূদ্ধে স্থানীয় ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন।’’ বলাবাহুল্য, শনিবার রামনগরের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিস্ফোরক দাবি ছিল, ‘‘সরকারের ৮০ শতাংশ লোক তৃণমূল সরকারকে সরাতে তাঁকে সহযোগিতা করছেন। তাঁরা বলছেন এই সরকারকে সরান, আর পারছি না।’’
স্বাভাবিক ভাবে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্য ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এর ঠিক আগের দিন শুক্রবার দুর্নীতি কাণ্ডে বড়সড় অভিযোগ সামনে আনেন শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, "একটা বড় চক্র যুক্ত রয়েছে কয়লা দুর্নীতির সঙ্গে। তাতে যুক্ত আছেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরাও। ২৪০০ কোটি টাকা কয়লা কাণ্ডে কেলেঙ্কারির হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে ১ হাজার কোটি টাকা গিয়েছে এক রাজনৈতিক প্রভাবশালীর কাছে। সেই প্রভাবশালীই এ রাজ্যের পুলিশ ও প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করেন।’’ আর এবার ছবি তথা ভিডিও প্রকাশ করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ছুটির দিনে সরকারি অফিস খুলে লুকিয়ে জমির পাট্টা বিতরণ করার বিস্ফোরক অভিযোগের বোমা ফাটালেন শুভেন্দু অধিকারী।