পাশাপাশি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু এও বলেন, ‘‘লালন শেখের মৃত্যুর ঘটনায় তৃণমূলের লোকজন উৎসাহিত বোধ করছেন, তাদের বোঝা উচিত লালন শেখের পাহারার দায়িত্বে মমতার পুলিশ ছিল। তাই কাচের ঘরে বসে ঢিল না ছোড়াই ভাল।’’
আরও পড়ুন- বাংলার মতোই মাটি কামড়ে পরে থাকতে হবে, মেঘালয়ে বার্তা তৃণমূলের দলীয় নেতৃত্বের
advertisement
সিবিআই হেফাজতে মৃত্যু হল বগটুই কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের। সোমবার সন্ধ্যায় লালন শেখের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবে এই ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে তীব্র চাঞ্চল্য ৷ রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্প পান্থশ্রীতে লালনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৩ ডিসেম্বর ঝাড়খণ্ডের পাকুড় মুফ্শিল থানার নরোত্তমপুর থেকে লালন শেখকে গ্রেফতার করে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন-শান্তিনিকেতনের অদূরে দাঁড়িয়ে অভিষেকের 'নয়া' নামকরণ শুভেন্দুর মুখে, কী সেই নাম?
৪ ডিসেম্বর তাকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হলে ছ’দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। ১০ ডিসেম্বর ফের তাকে দ্বিতীয় বারের জন্য তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেইদিন থেকে সিবিআইয়ের হেফাজতেই ছিল লালন শেখ। স্বাভাবিক কারণে তাঁর মৃত্যুতে নানারকম প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ তাহলে কী অসুস্থ ছিল লালন, প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও ৷
এর আগে সিবিআই দাবি করেছিল, বগটুই কাণ্ডের চাঁই এই লালন শেখ, ঘটনাচক্রে যে সেই ঘটনায় মৃত ভাদু শেখের এক সময়ের ডান হাত ৷ সেই কারণেই তদন্তে একাধিক পর্যায়ে বিভিন্ন মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদের পর লালনের দিকে সন্দেহর তীর ঘোরে ৷ তার পর তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ এর পরই ঝাড়খণ্ড থেকে কয়েকদিন আগে লালনকে গ্রেফতার করে সিবিআই ৷ উল্লেখ্য, রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা ছুড়ে হত্যা করা হয় ভাদু শেখকে ৷ তার পর ওই গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় ৷ সেই ঘটনায় ১০ জনের মৃত্যু হয় ৷ রাজ্য জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ৷ ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে ৷