এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি সফর নিয়ে এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "শুনছি নাকি উনি পাঁচ তারিখ দিল্লি যাবেন উনি পৌঁছানোর আগে রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর জানা দরকার যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নর্থ কোরিয়ার শাসকের মত কী ভাবে এখানে চালাচ্ছে সেটা জানা দরকার । আমার ঘনিষ্ট লোকেদের নামে মামলা করে, নন্দীগ্রামের লোকেদের নামে মামলা করে। সবাই বাড়িতে ঘুমিয়েছিল। নিজেরা কাপড় পুড়িয়ে আমাদের ছেলেদের জেল খাটালো। আমার ইলেকশন এজেন্ট মেঘনাদ পাল, একজন সজ্জন ব্যক্তি কথায় কথায় তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করে। প্রলয় পাল একজন ভাল মানুষ, তাঁর বাবা দীর্ঘদিনের রাজনীতিবিদ, তাঁর বিরুদ্ধেও মামলা করে।
advertisement
আরও পড়ুন: জেল থেকে বেরোলে বড় খেলা! অনুব্রতকে নিয়ে এবার সুকান্তর বিস্ফোরক মন্তব্য ভাইরাল
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মহাপুরুষ বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন। এটা বাংলার লোক দেখুক, স্থাবকতা আর চটি চাটতে চাটতে এরা কোথায় গিয়েছে। কখনও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর সঙ্গে, কখনও মা রানী রাসমণির সঙ্গে, একটা অংশের বাঙালি মমতাকে ভোট দিয়েছে তারা দেখুক কোন স্থাবক পরিবৃত হয়ে কাজ করছেন। ওকে কাউন্ট করার দরকার নেই। ওর সঙ্গে অরূপ রায় মন্ত্রী ও জেলা সভাপতি আছে, এখন কল্যাণ ঘোষ আছেন। ওখানে বিরাট গন্ডগোল আছে। প্রসুন বাবুর কাছে খবর আছে হাওড়ার কর্পোরেশনের ভোট রয়েছে। দু চারটে টিকিট যাতে মেলে এটা তৈলমর্দন ছাড়া আর কিছু নয়।
মেদিনীপুরে তিন দিন ধরে শিশু নিখোঁজ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এখন শিশু অধিকার পরিষদ কোথায় গেল। যারা আমাকে ঘন ঘন নোটিশ করত তারা কোথায় গেল? শিশু অধিকার পরিষদের চিঠির পর চিঠি, তড়িৎ গতিতে সাংবাদিক সম্মেলন। আজ যখন রামপুরহাট, বগটুইতে সংখ্যালঘু শিশু জলে, নারী জলে, তখন নারী শিশু অধিকারকে পাওয়া যায় না। যখন হাসখালিতে ক্লাস নাইনের ছাত্রীকে তৃণমূলের উপপ্রধানের ছেলে ধর্ষন করে গায়ে মদ ঢেলে পুড়িয়ে মারে তখন এদের পাওয়া যায় না। কলকাতার বাগুইহাটিতে দুটো নাবালক ছাত্র অপহরণ হয়ে খুন হয়ে গেলে এদের পাওয়া যায় না। পশ্চিমবাংলার অবস্থা খুব খারাপ, জঙ্গলারাজ চলছে। এর অবসান খুব শীগ্রই হবে । ডবল ইঞ্জিন সরকারই এর সমাধান।