পূর্ব মেদিনীপুরে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে মোট আসন ৫০২৫টি। মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ১৭,৭৯১টি। বিজেপির মনোনয়ন ৫৮৩১টি। তৃণমূলের মনোনয়ন ৫৬৮৮টি। সংখ্যার দিক থেকে ঘাসফুলের থেকে কিছুটা হলেও এগিয়ে বিরোধী দলনেতার দল। জেলা পরিষদে ৭০টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬৬৫টি ও গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪২৯০টি আসন রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। জেলা প্রশাসন এবং নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৮৪৩টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৮৯৩টি এবং জেলা পরিষদে ৯৫টি মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের তরফে গ্রাম পঞ্চায়েতে ৪৮০৭টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ৮০৫টি এবং জেলা পরিষদে ৭৬টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে রয়েছে যথাক্রমে সিপিএম ও কংগ্রেস। তবে তারা অনেকটাই পিছিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: মমতার হাতে আছে এক ছোটখাটো ‘কেষ্ট মণ্ডল’ও! নাম-তথ্য তুলে বিস্ফোরক শুভেন্দু অধিকারী
সার্বিক মনোনয়ন পেশের সংখ্যায় এগিয়ে থাকলেও পদ্ম শিবিরের কাছে কাঁটা নন্দীগ্রাম। শুভেন্দুর নিজের বিধানসভাতেই সব আসনে দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিতে পারেনি বিজেপি। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮৫টি আসনের মধ্যে ৬৬টিতে, পঞ্চায়েত সমিতির ৩০টি আসনের সাতটিতে পদ্ম প্রার্থী নেই। কেন্দেমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি আসনের একটিতেও নেই বিজেপির প্রার্থী, তৃণমূলের লড়াই নির্দল হিসেবে দাঁড়ানো গোঁজ প্রার্থীদের সঙ্গে। জেলা জুড়ে মনোনয়নে এগিয়েও নন্দীগ্রামে এই হাল কেন?
আরও পড়ুন: শুভেন্দুর জেলায় অভিষেকের নির্দেশ অমান্য তৃণমূলেই, দলেই তীব্র শোরগোল! যা ঘটল, অবিশ্বাস্য
বিজেপির দাবি, সবটাই নাকি তাদের ভোটের ছক। গোঁজ প্রার্থী নিয়ে তৃণমূলের দাবি, সমস্যা মিটে যাবে। ভোট হবে প্রতীকেই। অন্যদিকে গোঁজ এবং বিক্ষুব্ধ তৃণমূল প্রার্থীদের কথায়, ঠিক মানুষদের প্রার্থী না দেওয়ার কারণে ভুগতে হবে দলকে।