‘‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনে কোনও নির্দিষ্ট নেতানেত্রী ছিল না। এই আন্দোলন ছিল জনগণের।’’ সম্প্রতি নন্দীগ্রাম দিবসে ফের একবার নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কৃতিত্ব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে অস্বীকার করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একই সঙ্গে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে সেদিন শুভেন্দু অধিকারী এও দাবি করেন, বাধ্য হয়েই তাঁকে বিভিন্ন পদ এবং সম্মান দিয়েছিল তৃণমূল। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের অবস্থা সিপিএমের মতো হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকে একাধিকবার নন্দীগ্রাম আন্দোলন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃতিত্বকে অস্বীকার করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
advertisement
আরও পড়ুন- ‘কখন দলের নামের আগে থেকে 'AI' মোছা হবে...?’ ট্যুইটে 'খোঁচা' শুভেন্দু অধিকারীর
পরোক্ষে বুঝিয়ে দিয়েছেন, তিনি এবং অধিকারী পরিবার না থাকলে নন্দীগ্রামে ঢোকাই সম্ভব হত না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষে। গত সোমবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেজুরির ঠাকুরনগরে সভা করেন। ঠিক তার পরের সোমবারই পাল্টা শুভেন্দু অধিকারী খেজুরি বিধানসভা এলাকার অন্তর্গত সেই ঠাকুরনগরেই প্রতিবাদ জনসভার ডাক দিয়েছিলেন। সেই সভামঞ্চ থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ ইস্যুকে হাতিয়ার করে তীব্র আক্রমণ শানান শুভেন্দু অধিকারী। ফের জোর গলায় তিনি দাবি করলেন যে, ‘‘নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও কৃতিত্বই ছিল না। উনি তখন সিঙ্গুর থেকে টাটাদের গাড়ি শিল্প কারখানা তাড়ানোর জন্য জমি আন্দোলন করছিলেন।’’
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুর সপ্তমে তুলে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার ডাকে এদিনের সভায় বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘ নন্দীগ্রামে প্রথম সভা হয়েছিল ৩ নভেম্বর ২০০৬ সালে। কোথায় ছিলেন আপনি সেদিন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবারের প্রতিবাদ সভামঞ্চ থেকে প্রশ্ন করেন শুভেন্দু। সেদিন অনশনের নামে আপনি সিঙ্গুরে নাটক করছিলেন। বাংলার বেকারদের স্বপ্নকে আপনি ধ্বংস করেছেন। নন্দীগ্রামের মানুষ একুশের ভোটে আপনাকে জবাব দিয়েছেন। ২৪-এর লোকসভা ভোটে আমি আপনাকে আরও ভাল খেলা দেখাব।’’
