বিরোধী দলনেতা এও বলেন, গত বিধানসভা ভোটে আমাকে অনেক জায়গাতেই প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। আমার গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। কিন্তু এবার আর ওসব হবে না। হাইকোর্ট বলে দিয়েছে যে, জলপাই পোশাক পরা, ভারি বুট পরা আমাকে যারা নিরাপত্তা দেয় সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে সব বুথে। ঘুরবে সব গ্রামে’।
advertisement
আরও পড়ুন: মাঝরাতে সিপিআইএম নেত্রীর বাড়ির সামনেই হঠাৎ বিকট শব্দ, মিলল এক চিঠি..শিউরে ওঠা ঘটনা
নন্দীগ্রামে একাধিক পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী না থাকা নিয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবল কটাক্ষের মুখে পড়তে হচ্ছে শুভেন্দুকে। এদিনের নন্দীগ্রামের সভা থেকে শাসকদল তৃণমূলকে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেন,’ কেন প্রার্থী নেই তা ১১ জুলাই এলেই বুঝতে পারবেন। পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফলের পরই বিজেপি কেন প্রার্থী দেয়নি আসন গুলিতে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে’। নন্দীগ্রামের একাধিক আসনে বিজেপির প্রতীকে প্রার্থী না থাকা নিয়ে শুভেন্দুর এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘খেলা এবার আমি দেখাব’, নন্দীগ্রামের প্রসঙ্গ তুলে হুঙ্কার শুভেন্দুর! কাকে করলেন নিশানা?
চণ্ডীপুর থেকে নন্দীগ্রাম পর্যন্ত অভিষেকের নবজোয়ার জনসংযোগ যাত্রা উপলক্ষে রোড শো কেও এদিন তীব্র কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারীর দাবি,’ উনি ডায়মন্ড হারবার, উলুবেরিয়া, ফলতা সহ নানা জায়গা থেকে লোক এনেছিলেন নন্দীগ্রাম দর্শন করাতে। ওই যাত্রায় লোক ছিল না, পুলিশ ছিল। আমরা কিন্তু নন্দীগ্রামের লোকেরাই চোর তাড়াতে একসঙ্গে হাঁটলাম’। পাশাপাশি শুভেন্দুর চাঞ্চল্যকর অভিযোগ,’ সেদিনের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রামে জনসংযোগ কর্মসূচি উপলক্ষ্যে চণ্ডীপুর থানার ৮ লাখ, নন্দীগ্রাম থানার ৭ লাখ খরচ হয়েছে। আগামিদিনে এর সব হিসেব হবে’। এক প্রকার পুলিশকে পঞ্চায়েত ভোটে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রাখতে এদিন হুঁশিয়ারি এবং সতর্কও করেন শুভেন্দু।
