নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়ায় আজ সমবায় সপ্তাহ উপলক্ষে এক সভায় যোগ দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য সরকার সমবায় ব্যবস্থাকে কার্যত পঙ্গু করে রেখেছে এমনই অভিযোগ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার নানাভাবে সমবায় ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এ রাজ্যে আইনের শাসন চলেনা, শাসকের আইন চলে তাই অনেক সমবায়তেই বছরের পর বছর ধরে নির্বাচন আটকে রাখা হয়েছে। আমরা চাই অবিলম্বে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে সমবায় সমিতির সাথে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ যুক্ত হোক'।
advertisement
আরও পড়ুন: 'বাংলা জানে কী করতে হয়', বিস্ফোরক অভিযোগ মমতার! কুৎসা রুখে দেওয়ার ডাক
পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী মঞ্চে বক্তব্য রাখার সময় কৃষকদের সাথে রাজ্য সরকার নানান ধরনের বঞ্চনা করছে, এই অভিযোগেও এদিন সরব হন। উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের উদাহরণ টেনে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, 'আগে উত্তর প্রদেশ থেকে বহু মানুষ বাইরের রাজ্যে যেত কর্মসংস্থানের জন্য। এখন উত্তরপ্রদেশ থেকে কেউ বাইরের রাজ্যে যায় না। বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, শিল্প সহ সবদিক দিয়েই এখন নিজেরাই স্বাবলম্বী'। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে উন্নয়নের প্রসঙ্গক্রমে শুভেন্দু এও বলেন,' বাংলা আজ সব ক্ষেত্রেই ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে। কোনও উন্নয়ন নেই। তাই বাংলায় অবিলম্বে প্রয়োজন ডবল ইঞ্জিন সরকার। ডাবল ইঞ্জিন সরকার হলেই অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যের মত সব ক্ষেত্রে উন্নয়নের সুফল পাবে এই বাংলাও'।
আরও পড়ুন: অনুব্রতহীন বীরভূমে কীভাবে পঞ্চায়েত ভোট? কলকাতায় বৈঠকে বসছেন অভিষেক
সম্প্রতি নন্দীগ্রামের ভেকুটিয়া সমবায় সমিতির নির্বাচনে বারটি আসনের মধ্যে বিজেপি প্রার্থীরা জয়লাভ করেন ১১ টি আসনে। তৃণমূল যেতে মাত্র ১ টি আসনে। কয়েকদিন আগেই নন্দকুমারেও একটি নির্বাচনে দেখা যায় বাম- রাম জোট মিলে তৃণমূলকে শূন্য করেছে। তাহলে কি বাংলায় সেই মডেলই আগামী দিনে দেখা যাবে? শুভেন্দু অধিকারীকে সাংবাদিকদের এই প্রশ্ন প্রসঙ্গেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বললেন,' কিভাবে বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করে বিজেপি সরকারকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে তা মানুষ জানে'।