শনিবার জমিদাতাদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, খুব বড় ষড়যন্ত্র হয়েছিল। এখনও ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা হচ্ছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন সেটাই করেন'। বিরাট প্রকল্প। প্রকল্পের বাস্তবায়নে ক্ষতিপূরণেও দরাজ রাজ্য সরকার। সিদ্ধান্ত হয়, জমির বাজারমূল্যের দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বাড়ি তৈরির জন্য ৭০০ বর্গফুট জমি। বাড়ি না নিলে ৭ লক্ষ টাকা। এককালীন ক্ষতিপূরণ দেড়লক্ষ টাকা।জমিদাতাদের একজনকে সরকারি চাকরির কথাও বলা হয়েছে সরকারের তরফে। সেই মতো শনিবার জমিদাতাদের ২৩৮ জন পেলেন গ্রুপ ডি পদের নিয়োগপত্র।"
advertisement
এই প্রথম ডেউচা পাঁচামি প্রকল্পে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগপত্র দেওয়া হল। এর আগে দুই ধাপে ৩৫৪জনকে জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি দিয়েছে সরকার। এবার গ্রুপ ডি পদে চাকরির নিয়োগপত্র। সেই সঙ্গে ১৮ বছর বয়স না হওয়ায় যারা চাকরি পায়নি, এমন ৫৪জন নাবালকের পরিবারকে ১০ হাজার টাকা মাসিক ভাতাও দেওয়া হয়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ,' এই সরকারের বারোটা বেজে গেছে। শুধু লটারি আর মদ বিক্রি করতে ব্যস্ত। মুখ্যমন্ত্রী মানুষকে শুধু ভুল বুঝিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। নবান্ন থেকে যতক্ষণ না পর্যন্ত এই সরকার ও ১৪ তলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎখাত করা হচ্ছে ততদিন বাংলার দুর্ভোগ থাকবে'।
আরও পড়ুন: 'গভীর চক্রান্ত করছে বিজেপি...'! পঞ্চায়েত ভোটের আগে 'বিস্ফোরক' অভিযোগ তৃণমূলের!
উড়িষ্যা সরকারের প্রসঙ্গ টেনে শুভেন্দু এও বলেন, 'সরকার যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ করেছিল তাদের প্রত্যেকের চাকরি স্থায়ী করেছে। অথচ দেউলিয়া রাজ্য সরকার অস্থায়ী নিয়োগ দিয়েই চলেছে। এই চাকরির কোনও মূল্য নেই। কী ভাবে স্বচ্ছভাবে নিয়োগ করতে হয় তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে ৭৫ হাজার চাকরি প্রদানের যে অনুষ্ঠান হল তা থেকে দেখে শেখা'।