এদিন কৃষকদের হয়ে সওয়াল করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, 'আমাদের এই কর্মসূচি কৃষকদের জন্য। এই এলাকায় আলু চাষ সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু নিম্নমানের আলু বীজ, ব্ল্যাক করে সার কেনা। এর ফলে আলু চাষিরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। বিধানসভায় আমি এই বিষয়ে সরব হয়েছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী একটা সভা করেন ৫ কোটি টাকা করে খরচ হয়। চার হাজার স্কুলের বাচ্চাকে নিয়ে এসেছেন আজ। কন্যাশ্রী আর সাইকেল দেবেন বলে৷ খেলা আর মেলায় এত টাকা দেন, এখন আলু চাষিদের কেন সাপোর্ট করবেন না? উনি ভাইপো ছাড়া কাউকে চেনেন না৷ উনি পরিবারবাদ স্থাপন করেছেন এই রাজ্যে। চাকরি বিক্রি হয়েছে। আপনি কেন কৃষকের পাশে দাঁড়াবেন না?'
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রত ছাড়া বীরভূম সামলাবে কে? চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বিরাট ঘোষণা মমতার! কেঁপে গেল বাংলা
শুভেন্দুর দাবি, 'আপনাদের থেকে কঠিন ছিল সিপিএম। ওদের সরিয়ে দিয়ে গিয়েছি আমি। আমি তো ২০১০ সালে এখানে পুর ভোটের প্রচার করেছিলাম। আমি এখানে লড়েছি। ২০১৯ সালে বিজেপি ১৮ আসন পাওয়ার পর মাতব্বরগুলো ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, মমতাকে হারানোর। আমি পেরেছি। এর পরের কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রাক্তন করার। চোর চোর ভাগাও। তৃণমূল কংগ্রেসকে দেখলেই চোর বলবেন। হাটে, বাজারে, তৃণমূল কংগ্রেস মানেই চোর। আজকে যেটা দেখালাম সেটা ট্রেলার। আগামীদিনে আবার দেখাব।'
আরও পড়ুন: রাজ্যে সরকারি চাকরির বিরাট সুযোগ, মন্ত্রিসভায় ঘোষণা মমতার! পাহাড় থেকে সমতল, সুযোগ সর্বত্রই
পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে শুভেন্দু অধিকারীর হুঙ্কার, 'আপনাদের গ্রামের ছেলে বারবার আসবে৷ নো ভোট টু মমতা প্রচার করবেন। কংগ্রেস টেস্টেড, রিজেক্টেড। বাম নেতারাও তাই। বাম আমলে মেধা অনুযায়ী চাকরি হয়নি৷ বাম আমলে চাকরি অনিয়ম হয়েছে। এরা চাকরি বেচেছে। এই রাজ্যে তাই ডাবল ইঞ্জিন সরকার চাই। মোদির কোনও বিকল্প নেই।' গত বিধানসভা ভোটের আগে বীরুলিয়া বাজারে প্রচারের সময় পা ভেঙেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এদিন সেই ঘটনাকে টেনে এনে শুভেন্দুর পাল্টা, 'ভোট আসলেই পা ফোলে৷ ভাঙা পায়ের কথা বলে৷ খেজুরির সভার পাল্টা আজ আমি বলব না। আমি আগামী সোমবার ওই মাঠেই জবাব দেব৷ আর দিঘার উত্তর আগামী পরশু নদিয়ার হাঁসখালিতে দেব।'
আবীর ঘোষাল