আরামবাগের সভা মঞ্চে দাঁড়িয়ে অতীতের স্মৃতিচরণ করতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সূর্যমদকের জল ভরা সন্দেশ তাঁর খুবই প্রিয়। অটলবিহারী বাজপাই তিনি যখন বেঁচে ছিলেন তার কাছে সূর্যমোদকের জলভরা সন্দেশ এবং মালপোয়া নিয়ে যেতেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। আকবর আলী খন্দকার তিনি নিজে সূর্য মোদকের দোকান থেকে মিষ্টি নিয়ে যেতেন মুখ্যমন্ত্রীর জন্য। এই বিষয়ে দোকানের বর্তমান মালিক শৈবাল মোদক তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের তৈরি মিষ্টি নিয়ে ওয়াকিবহল। আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ১১০টি হাঁড়ি ভর্তি জলভরা সন্দেশ পাঠানো হয়েছিল। প্রতিটি হাড়িতে ছিল ১৫ পিস করে সূর্য মোদকের প্রথাগত নলেন গুড়ের জলভরা সন্দেশ। তিনি আরওবলেন, শুধুমাত্র জলভরা নয় সূর্যমরকের দরবেশ ও মালপোয়াও মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের মিষ্টি তালিকায় রয়েছে।
advertisement
জমিদারের জামাইকে ঠকানোর জন্য তৈরি সন্দেশ প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে মানুষের মনে লেগে থাকবে তার আভাস তারা আগেই পেয়েছিলেন। সেই কারণেই ২০২২ সালের আগস্ট মাসে জিওগ্রাফিকাল আইডেন্টিফিকেশনের জন্য আবেদন করেছিলেন। বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ইতিমধ্যেই হয়েছে চেন্নাইতে। আরওকিছু পরীক্ষার বাকি রয়েছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এই বছরের শেষের মধ্যেই মিলতে পারে জিআই তকমা।
বর্তমানে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসেছে জল ভরা সন্দেশেও ফিউশন। ৫০ গ্রাম থেকে শুরু করে এক কেজি আড়াইশো গ্রাম পর্যন্ত জল ভরা সন্দেশ পাওয়া যায় সূর্য মোদকের দোকানে। যার ন্যূনতম মূল্য ৪০ টাকা থেকে শুরু করে রয়েছে সর্বাধিক এক হাজার টাকা পর্যন্ত। তবে জমিদারের জামাইকে ঠকানোর জন্য বাড়ির মহিলাদের আবদারে তৎকালীন সময়ে এই সন্দেশ বানিয়ে ছিলেন সূর্যমোদক। সেই সন্দেশ আজও জনপ্রিয়।
রাহী হালদার