নতুন এই সিসিইউ ইউনিটে এমন প্রযুক্তি রয়েছে যা গুরুতর অসুস্থ রোগীর শ্বাস বন্ধ হয়ে গেলেও প্রযুক্তির সাহায্যে তাকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্ট, মস্তিষ্কে আঘাত, জটিল প্রসব পরবর্তী পরিস্থিতি কিংবা সাপের কামড়ে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া রোগীরাও এখন উন্নত লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসা পাবেন এই ইউনিটে।
আরও পড়ুন: এক দিনের বৃষ্টিতেই স্কুলে হাঁটু জল…! ভয়াবহ পরিস্থিতি, আসল কারণ কি জানেন?
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা দয়াময় গড়াই জানান, “আগে কোনও ক্রিটিক্যাল রোগী হলে সিউড়িতে নিয়ে গিয়ে রেফার করে দিত বর্ধমানে। এখন সেই সমস্যার অবসান হল। একদিকে খরচ বাঁচবে, অন্যদিকে সময়মত চিকিৎসা মিলবে। আমরা সত্যি খুব খুশি।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বীরভূম জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক ডঃ শুভব্রত ঘোষ জানালেন, হার্ট ফেলিয়র, রেসপিরেটরি ফেলিয়র, হেড ইনজুরি, অজ্ঞান অবস্থা, সাপের কামড় ইত্যাদি ক্ষেত্রে এই হাইব্রিড ইউনিট কার্যত জীবনদায়ক হবে। যতক্ষণ না রোগী নিজে শ্বাস নিতে বা হৃদস্পন্দন চালাতে সক্ষম হন, ততক্ষণ লাইফ সাপোর্টের মাধ্যমে তাকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
এই পরিষেবাগুলোর ফলে জেলার অসংখ্য মানুষকে চিকিৎসার জন্য আর বহুদূর যেতে হবে না। সিউড়ি এখন জেলাবাসীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে নতুন ভরসার নাম।
সুদীপ্ত গড়াই