গত বছর ৮ নভেম্বর কলকাতা থেকে সানির এই ধর্ষণবিরোধী সচেতনতা যাত্রা শুরু হয়েছিল। সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং নিজের খরচে যাত্রা শুরু করেন কলকাতার গল্ফগ্রিনের এই বাসিন্দা। গত এক বছরে তিনি দেশের প্রায় ১২টি রাজ্য অতিক্রম করেছেন। এবার ওড়িশা পেরিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘায় এসে পৌঁছেছেন।
advertisement
দেশজুড়ে যখন নারী নিরাপত্তা এক গভীর সংকটের মুখে এসে পড়েছে, সেই সময় সানির এই উদ্যোগ সমাজে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তাঁর লক্ষ্য, দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সাধারণ মানুষকে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ, এর শাস্তি ও আইনি বিধান সম্পর্কে সচেতন করা। তাঁর অভিজ্ঞতায়, গ্রামীণ ও প্রান্তিক স্তরের বহু মানুষই এখনও এইসব বিষয়ে অবগত নন। অজ্ঞতার সুযোগে বহু অপরাধী ধরা-ছোঁয়ার বাইরে রয়ে যায়। সেই সঙ্গেই অসংখ্য নারী ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হন।
সানির কথায়, “যাত্রাপথে আমি বহু গ্রামে গিয়েছি, সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেকেই ধর্ষণের মতো অপরাধের পর আইন কীভাবে সাহায্য করতে পারে, তা জানতেন না। আমি তাঁদের আইনি দিক সম্পর্কে সচেতন করেছি, অভিযোগ জানানোর পদ্ধতি বুঝিয়েছি।” তাঁর এই সচেতনতা রিকশা এখন পথচলতি মানুষের দৃষ্টি কেড়েছে। রিকশার গায়ে লেখা রয়েছে “Stop Rape”, “Respect Women”, “Raise Your Voice Against Crime”।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দিঘায় পৌঁছেই পর্যটকদের মধ্যে সাড়া ফেলেছেন সানি। স্থানীয় সমাজকর্মী ও পর্যটকরাও তাঁর উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তাঁদের কথায়, “একজন মানুষও যদি সমাজ পরিবর্তনের লক্ষ্যে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হন, তবে তা হাজার মানুষের মনে আলো জ্বালাতে পারে।”





