খুব কম খরচে জঙ্গল ঘেষা নদী এই সুন্দরবন মন কাড়ে সবার। শুধু বাঘ বা হরিণ নয়, সুন্দরবনের সুন্দর মনোরম পরিবেশ উপভোগ করতে কলকাতা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে একদিনের হাতে সময় নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন পাখিরালয়। শীতকালে সারা মাস সুন্দরবনে পর্যটন কেন্দ্রে ভিড় বাড়ে পর্যটকদের।
আরও পড়ুন- অধ্যাপকের সঙ্গে লিফটে ‘একা’, নেমেই প্রাণপণ ছুট ছাত্রীর! কী হল তাঁর সঙ্গে…শিউরে উঠবেন!
advertisement
মাতলা নদীর পাড়েও চলছে পিকনিকের দেদার আসর। মানুষের যাতায়াত বেড়ে যাওয়ায়। সুন্দরবনের এই সমস্ত পাখিরালয় এলাকার পর্যটন কেন্দ্রে গুলিতে রাত্রিবাস করে এই খেয়াঘাটে চলে আসেন পর্যটকরা। তারপর বেরিয়ে পড়েন সুন্দরবনের বনি ক্যাম্প, কলস ক্যাম্প বা দো বাঁকি ঘুরে সজনেখালি, সুধন্যখালি দেখার উদ্দেশ্যে। বোট বা লঞ্চে করে যাওয়ার পথে একবার বাঘের দেখা পাওয়া গেলে তাঁদের বাড়তি আনন্দ।
আরও পড়ুন- বোঁচা না চোখা? নাকই বলে দেবে কে কেমন ‘মানুষ’…! মিলিয়ে দেখে নিন যারটা জানতে চান
কিন্তু সুন্দরবন গেলেই যে বাঘের দেখা মিলবে, এমন ভাগ্য সবার থাকে না। তবে, এই শীতে পাখিরালয় গেলে দেখা মিলতে পারে বিভিন্ন জীবজন্তুর, বিশেষত পাখির। আর ভাগ্য সহায় হলে বাঘও দেখতে পাবেন। সুন্দরবনের সবুজে ঘেরা দ্বীপগুলোর মধ্যে অন্যতম পাখিরালয়। এখানেই রয়েছে পাখিরালয় বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য।
আরও পড়ুন- মানুষের পর পৃথিবীর দখল নেবে কোন প্রাণী? বিজ্ঞানীরা যা বললেন…ভাবতেও পারবেন না!
ম্যানগ্রোভ অরণ্যের মধ্যে অজস্র পাখির দেখা মিলবে এই পাখিরালয়ে। তার সঙ্গে দেখতে পাবেন হরিণ, বুনো শূকর, বাঁদর। কখনও-সখনও রয়েল বেঙ্গলেরও দেখা মিলতে পারে এখানে। তবে, আপনি ইচ্ছেমতো এই অভয়ারণ্যে ঘুরে বেড়াতে পারবেন না। জঙ্গলের কোর এলাকায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। বাফার এলাকায় যেমন খুশি ঘুরতে পারেন এবং দেখা পেতে পারেন বন্যজন্তুর। কিংবা ওয়াচ টাওয়ারে বসেও জঙ্গলের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন।
সুমন সাহা