পশু চিকিৎসকরা বাঘের মৃত্যুর কারণ জানার চেষ্টা করছেন। তবে এ বিষয়ে কোন তথ্যই বন দফতরের তরফ থেকে দেওয়া হয়নি। তারপর ময়নাতদন্ত করে নিয়মমাফিক শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ঝড়খালি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে প্রথমে যে দুটি বাঘকে এনে রাখা হয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম সোহান। প্রথম যখন ঝড়খালি পুনর্বাসন কেন্দ্র তৈরি করা হয়, তখন ২০১২ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্বোধনে যান। আদর করে নিজেই দুটি বাঘের নামকরণ করেন।
advertisement
পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘ সোহান। অন্যদিকে সোহানি ছিল বাঘিনি। তারপর থেকে সেই নামেই ডাকা হত তাদের। বেশ কয়েকদিন আগে স্ত্রী বাঘ সোহানি মারা যায়। তারপর থেকে বয়সজনিত কারণে অসুস্থ ছিল সোহান। তারও মৃত্যু হল। ২০০৯ সালে বারবার সাতজেলিয়ার লোকালয়ে ঢুকে পড়ছিল এই সোহান। বন দফতরের খাঁচা পেতে তাকে ধরার পর সোহানকে নিয়ে আসা হয় আলিপুর চিড়িয়াখানায়। পরে ফের তাকে ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা হয়। পর্যটকদের কাছে যথেষ্ট আকর্ষণীয় ছিল সোহান ও সোহানি।
—- সুমন সাহা