এর পাশাপাশি তিনি সুন্দরবন প্রত্যন্ত এলাকার পিছিয়ে পড়া শিশুদের জন্য গড়ে তুলেছেন জনগণের পাঠশালা। এছাড়া তিনি প্রতিদিন চলার পথে লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করেন আর সেই ট্রেনের মধ্যে তিনি যাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের সমাজিক বার্তাও দিয়ে থাকেন। লোকাল ট্রেনে প্লাস্টিক বোতলের পরিবর্তে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে পোড়ামাটির বোতলে সাধারণ মানুষের জলপান করার পরামর্শ দেন। এ ছাড়া যাত্রীদের মধ্যে নানা ফলের গাছ ও সবজির বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করেন। তার একটাই উদ্দেশ্য ও মত, পরিবেশ বাঁচলে মানুষ বাঁচবে।
advertisement
আরও পড়ুন: কাকদ্বীপ ভ্রমণের মজা বেড়ে দ্বিগুণ! এবার ২ কিমি জায়গা জুড়ে নতুন ইকো ট্যুরিজম! উদ্বোধন হলে বলে
এছাড়াও তার একটি বড় ভূমিকা রয়েছে সুন্দরবন প্রত্যন্ত এলাকায়। বর্ষাকালে যদি কারো বাড়িতে বিষাক্ত কোন সাপ ঢুকে পড়ে, উনাকে খবর দিলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি এই ঘটনায় পৌঁছে যান এবং নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে সেই সাপ সেখান থেকে উদ্ধার করে সুস্থভাবে বন দফতরের হাতে তুলে দেন। এছাড়া সমস্ত প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের তিনি সজাগ করেন, কীভাবে বাড়িতে বা চাষের জমিতে বিষাক্ত সাপ যদি ঢুকে পড়ে করবেন এবং তা থেকে কীভাবে বাঁচবেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চাকরির পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করা এবং মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় তার প্রধান কাজ বলে তিনি মনে করেন। সমরেন্দু চক্রবর্তী দীর্ঘ দিন ধরেই সুন্দরবনের মানুষের কাছে ত্রাতার ভূমিকা পালন করে আসছেন। প্রতি বছরের মত এ বছরও বর্ষার আগে সাধারণ মানুষকে সাপের বিষয়ে সচেতন করেন লোকাল ১৮ এর মাধ্যমে।
সুমন সাহা