অন্যদিকে পূর্ণিমার কোটাল শুরু হয়েছে । এই কোটালে নদীর জল প্রচুর পরিমানে বাড়তে শুরু করেছে । আগামী তিনদিন আরও অনেকখানি জল বাড়বে । ফলে সেই বাড়তি জলের চাপ এই নড়বড়ে নদীবাঁধ রোধ করতে পারবে কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । ফলে আতঙ্কিত এলাকার মানুষ ।
সেচ দফতরের উদ্যোগে যদিও যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ হচ্ছে, তবুও সেই বাঁধ কতটা জলের চাপ সহ্য করতে পারবে তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে । ক্যানিংয়ের মধুখালি এলাকায় দীর্ঘ প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল আমফানে । মাতলা নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছিল বিস্তীর্ণ এলাকা । এই এলাকার মানুষ এখনও ঘরছাড়া । বাঁধ মেরামতি হয়নি । এলাকার মানুষ বহু কষ্টে দিন গুজরান করছেন । তার ওপর আবারও পূর্ণিমার ভরা কোটালে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকলে তারা কোথায় যাবেন, কোথায় থাকবেন তা নিয়েই আতঙ্কের প্রহর গুনছেন ।
advertisement
