দীর্ঘদিন ধরেই সুন্দরবন এলাকার মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার অনুমতিপত্র বা বিএলসি নিয়ে জটিলতা রয়েছে। সেই জটিলতার কারণেই চলতি বছর প্রায় দেড় মাস অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও মাছ ধরতে পারছেন না এখানকার মৎস্যজীবীরা। সুন্দরবনের নদী-খাঁড়িতে মাছ, কাঁকড়া ধরার অনুমতি পাচ্ছেন না। ফলে আর্থিক সঙ্কটে ভুগতে শুরু করেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: গেট খুলতেই তলিয়ে গেল একের পর এক বাড়ি! মারাত্মক কাণ্ড উত্তরে
advertisement
এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দাবি আদায়ে সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা ক্যানিংয়ে অবস্থিত সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করলেন। ক্যানিং মহকুমা মৎস্যজীবী রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। পাশাপাশি নিজেদের দাবি নিয়ে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকদের কাছে ডেপুটেশন জমা দেন মৎস্যজীবীরা।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগর সহ রাজ্যের সমস্ত নদী, খাঁড়িতে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকে। কারণ ওটা মাছের প্রজননের সময়। এই নিষেধাজ্ঞা উঠলে মৎস্যজীবীরা আবার মাছ ধরতে যেতে পারেন। কিন্তু চলতি বছর সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার প্রায় দেড় মাস পরেও মাছ ধরার অনুমতি পাচ্ছেন না সুন্দরবনের মৎস্যজীবীরা। এদিকে অনুমতিপত্র ছাড়া মাছ, কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বন দফতরের হাতে ধরা পড়ে মোটা টাকার জরিমানাও দিতে হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মৎস্যজীবীদের এই সমস্যা প্রসঙ্গে সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, বিএলসি নিয়ে জটিলতা কাটিয়ে দ্রুত যাতে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার অনুমতি দেওয়া যায় সেই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। আশাকরি দ্রুত সমাধান বেরিয়ে আসবে। এদিকে আন্দোলনকারী সংগঠনের সম্পাদক শম্ভু সাহা বলেন, আমরা দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছি প্রায় একমাস আগে, কিন্তু তবুও সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি নিতে বাধ্য হয়েছি। ব্যাঘ্র প্রকল্পের আধিকারিকরা আশ্বাস দিয়েছেন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান করবেন। তা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন করার হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সুমন সাহা